গ্রন্থাগারিকের অভাবে বেশিরভাগ গ্রন্থাগার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সারা দেশে কাগজে-কলমে ১৩৭৯টি বেসরকারি গ্রন্থাগার রয়েছে যার মধ্যে সক্রিয় গ্রন্থাগারের সংখ্যা ৮০০টি। গ্রন্থাগারিকের অভাবে বেশিরভাগ গ্রন্থাগার সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। একজন শিক্ষার্থীকে গ্রন্থাগারিকের দায়িত্ব প্রদান করে বছরে তার পড়ালেখার জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয় তা হিসাব করে এককালীন অনুদান হিসাবে এসব (৮০০টি) বেসরকারি গ্রন্থাগারকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে প্রদান করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার সকালে রাজধানীর বেরাইদ গণপাঠাগার সংলগ্ন পুরান ঈদগাহ মাঠে বাংলাদেশ গ্রন্থসুহৃদ সমিতি ও বেরাইদ গণপাঠাগার আয়োজিত ‘দ্বিতীয় ঢাকা গ্রন্থসুহৃদ/গ্রন্থাগার প্রতিনিধি সম্মেলনে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। দ্বিতীয় ঢাকা গ্রন্থসুহৃদ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘বেসরকারি গ্রন্থাগার, এমপিও দরকার’।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মনের ভাবনা, চিন্তা-চেতনা, আবেগ, হৃদয়ের স্পন্দন প্রভৃতি কাগজের পাতায় লিখে বই আকারে সাজিয়ে নিই বা সন্নিবেশিত করি। এসব বই যেখানে সংরক্ষণ করা হয় সেটি হচ্ছে গ্রন্থাগার। আর এ গ্রন্থাগারের ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো।
বেরাইদ গণপাঠাগারকে একটি আদর্শ গ্রন্থাগার হিসাবে অভিহিত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগত পর্যায়ে সাধারণত এ ধরনের অসাধারণ উদ্যোগ দেখা যায় না। গ্রন্থাগারটি আর্থিকভাবে যেমন স্বচ্ছল, তেমনি এখানকার বইয়ের মান, সংরক্ষণ, গবেষণা ও প্রকাশনা অনেক উন্নত।
নিজের করোনার টিকা গ্রহণের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে কে এম খালিদ বলেন, সবাই দ্রুত টিকা গ্রহণ করুন। আমি গতকাল (২৮ জানুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে টিকা গ্রহণ করেছি। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্তি। প্রতিমন্ত্রী এ সময় বিএনপিসহ যারা টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদেরকেও দ্রুত টিকা গ্রহণের আহবান জানান।