দারিদ্র্যকে আরো বেশি আক্রমণ করবো: পরিকল্পনামন্ত্রী

দারিদ্র্য নিরসনে বর্তমান সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। নানামুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে দারিদ্র্যকে আরো বেশি করে আক্রমণ করবো।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে ‘কোভিড-১৯ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও স্বাস্থ্য অধিকার’ শীর্ষক এক অনলাইন সেমিনারে অংশ নিয়ে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, ‘সামাজিক সুরক্ষা আমাদের অনেক কাজের মধ্যে একটা ভালো কাজ। বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্য হটাবার কথা আমরা বলি, এর জন্য মূল অস্ত্র প্রয়োগ করতে নানা কারণে পারছি না। এই ক্যাশ ট্রান্সফার, যেটা আমরা গরিব মানুষের হাতে পৌঁছে দিই। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা করে মাসে দিই। এতে তাদের বিরাট উপকার হয়। আমার প্রতিবেশীরাও উপকার পায়। সরকার বোধহয় এবার স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে যারা বাকি ছিলেন এবং করোনার কারণে যারা নতুন দারিদ্র্য হয়েছেন, তাদেরকে বাড়তি টাকা দেয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। সবাইকে এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তি যে, টাকা বাড়ালে কাজের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হতে পারে। আমি তাতে একমত। তবুও ৫০০ বা ৭০০ টাকা একদম কমেরও কম। এটাকে মাসে ১ হাজার টাকা করা গেলে ভালো হতো। যাই হোক, মাসে ১ হাজার টাকা করা এটা আমার প্রস্তাব।’

তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে কিছু সমস্যা ছিলো। মিস ডিরেকশন ছিলো, মিস গাইড ছিলো– এগুলো এখন কমে গেছে। এখন মোটামুটি গ্রামের লোকেরা সচেতন। জনপ্রতিনিধিরা আগের তুলনায় দক্ষ। এটা আরো বাড়ানো দরকার বলে আমি মনে করি। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির জন্য আগামী অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বড় বরাদ্দ ধরা আছে। আমি এখানে যতদিন কাজ করছি, এ খাতে যেন আরও বেশি করে অর্থ জোগান দেয়া যায়, আমার অবস্থান থেকে কাজ করে যাবো। কারণ আমি জানি, প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পের প্রতি বেশ দরদ আছে। দায়িত্ববোধ আছে, দায়বোধও আছে। আমার বিশ্বাস, ভালো প্রকল্প নিয়ে গেলে আরো বেশি করে অর্থ আমরা এখানে নিয়ে আসতে পারবো। বেশি করে টাকা আনলে দারিদ্র্যকে আমরা শক্ত করে আক্রমণ করতে পারবো।’

ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) ও এসএসডি’র যৌথ উদ্যোগে সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ।

অনলাইন সেমিনারে ডিজেএফবি’র সভাপতি হুমায়ূন কবীর, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান, সহসভাপতি হামিদ-উজ-জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন আব্দুল্লাহ, অর্থ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামসহ ডিজেএফবির অন্য সদস্যরা অংশ নেন।

বৈশাখী নিউজজেপা