পাপুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন আগামী ১০ মার্চ ধার্য

মানিলন্ডারিং আইনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১০ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার ঢাকা ম্যাট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন।

গত ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার (অর্গানাইজ ক্রাইম) আলামিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন, পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মচারী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির, জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা, জেসমিন প্রধানের মালিকানাধীন কম্পানি জেডাব্লিউ লীলাবালী ও কাজী বদরুল আলম লিটন। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়।

অভিযোগ বলা হয়, আসামিরা  মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন সময় ৩৮ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন। যার সঙ্গে পাপুল ও তার মেয়ের প্রতিষ্ঠান জড়িত।

প্রসঙ্গত পাপুলকে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন।

ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ কুয়েতি দিনার (২৮ কোটি টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।

বৈশাখী নিউজএপি