২০৩৫ সালে মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করতে আগ্রহী নাসা

আপডেট: February 4, 2021 |

২০৩৫ সালে নাসা চাচ্ছে ১৪ কোটি মাইল পাড়ি দিয়ে মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করতে। এ্যান্টার্টিকার চেয়ে ঠাণ্ডা আর অক্সিজেন নেই মঙ্গলে। সেখানে নভোচারীরা বেশিক্ষণ না থেকে বরং ঝুঁকিবিহীন ফিরে আসার পরিকল্পনা করছে। মঙ্গলে পাড়ি দিতে নভোচারীসহ মহাকাশ যানের ৯ মাস সময় লাগার কথা বললেও তা মনুষ্যবিহীন হলেও ৭ মাস লাগবে বলছে নাসার বিজ্ঞানীরা। সিএনএন

কিন্তু সিয়াটলের আলট্রা সেফ নিউক্লিয়ার টেকনোলজিস বলছে নিউক্লিয়ার থার্মাল প্রোপালশন ইঞ্জিনের সাহায্যে তিন মাসেই মঙ্গলে পাড়ি দেওয়া সম্ভব হবে বলে দাবি করছে। চল্লিশের দশক থেকে পারমাণবিক শক্তিচালিত রকেটের কথা বলা হলেও প্রযুক্তিগত বাধার কারণে তা এতদিন সম্ভব হয়নি।

সিয়াটলের কোম্পানিটির প্রকৌশল পরিচালক মাইকেল এডেস বলছেন কম জালানি খরচে পারমাণবিক শক্তিচালিত রকেট রাসায়নিক যন্ত্রের চেয়ে দ্বিগুণ দক্ষতায় অনেক বেশি শক্তিশালীভাবে মঙ্গল অভিযানে অংশ নিতে পারবে।সিয়াটলের কোম্পানিটির প্রকৌশল পরিচালক মাইকেল এডেস বলছেন কম জালানি খরচে পারমাণবিক শক্তিচালিত রকেট রাসায়নিক যন্ত্রের চেয়ে দ্বিগুণ দক্ষতায় অনেক বেশি শক্তিশালীভাবে মঙ্গল অভিযানে অংশ নিতে পারবে।

পারমাণবিক চুল্লি ব্যবহারে ইউরেনিয়াম জালানি পুড়িয়ে তাপশক্তি পাওয়ার পর তা তরল প্রোপেল্যান্টকে উত্তপ্ত করে গ্যাস প্রসারিত করবে এবং এটি রকেটের পিছনের প্রান্তে ছড়িয়ে পড়লে যে ব্যাপক শক্তি উৎপাদন হবে তা রকেটকে এগিয়ে নেবে।

নাসার স্পেস টেকনোলজি মিশনের প্রধান প্রকৌশলী জেফ শি বলেন রাসায়নিক ইঞ্জিনে মঙ্গল পাড়ি দিতে বছর তিনেক সময় লাগবে। এত দীর্ঘ সময় নভোচারীদের তেজস্ক্রীয়তায় আক্রান্ত হয়ে ক্যান্সার, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ও অবক্ষয়জনিত রোগে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

সিয়াটলের ওই কোম্পানি দাবি করছে পারমাণবিক শক্তিচালিত ইঞ্জিনে ৪৪শ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপ উৎপাদন করা হবে সিলিকন কার্বাইডের কনটেইনে এবং এতে তেজস্ক্রীয়তা এড়ানো সম্ভব হবে।

বৈশাখী নিউজফাজা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর