সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টকারীরা বিএনপির সহযোগী: কাদের

আপডেট: March 19, 2021 |

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যারা নষ্ট করে তারা বিএনপির সহযোগী। সুনামগঞ্জের ঘটনায় সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও তার দোসরদের যোগসাজশ রয়েছে বলে জনগণ মনে করে।

আজ শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকালে নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় শেখ হাসিনা সরকার সকল ধর্মের অনুসারীদের সহাবস্থান এবং নিরাপত্তা বিধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি অশুভ মহল বরাবরের মতো দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করছে।

তারা রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে ব্যর্থতা ঢাকতে নানা অপকৌশল আর ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির ঐক্যবদ্ধতায় শেখ হাসিনা সরকার এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী বর্ণচোরা অপশক্তিকে আর কখনো মাথা তুলতে দিবেনা।

শেখ হাসিনা সরকার ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জের ঘটনায় তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা অপরাধকে অপরাধ হিসেবেই দেখেন। অতীতের ধারাবাহিকতায় এ ঘটনায় যুক্তদেরও শাস্তি পেতে হবে।

সুনামগঞ্জের ঘটনায় মামলা হয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এ ধরনের ঘৃন্য অপরাধের সাথে জড়িতদের শাস্তি পেতেই হবে। এ দুঃখজনক ঘটনায় নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশের পাশাপাশি ধৈর্য ধারণেরও আহ্বান জানান তিনি।

বিভিন্ন পরাশ্রয়ী আন্দোলনে ভর করে সরকার পতনের ঘটানোর অলীক স্বপ্ন ভেস্তে গেছে বিএনপির উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, এর আগেও তারা ধর্মীয় অনুভূতিতে উস্কানি দিয়ে ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলনও হালে পানি পায় নি।

তথাকথিত আন্দোলনে বিন্দুমাত্র সাড়া না পেয়ে অতীতের মত সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ভোঁতা অস্ত্র কাজে লাগানোর অপচেষ্টা করছে বিএনপি।

সরকার যখন দল-মত নির্বিশেষে অভিযুক্তদের শাস্তির কথা বলছে তখন বিএনপি নেতারা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আওয়ামী লীগকে উপর দোষ চাপিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে চাইছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে তোষণ আর পোষণ করাই বিএনপির রাজনীতি।

আওয়ামী লীগের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতন বেড়ে যায়, বিএনপি নেতাদের এমন কাল্পনিক অভিযোগ ও মিথ্যাচার চৈত্রের দাবদাহে আষাঢ়ে গল্প ছাড়া আর কিছু নয় বলে মন্তব্য করে তিনি আরো জানান, ২০০১ পরবর্তী ঘটনাবলী তদন্তে উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরবর্তীতে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছিলো।

কমিশন নির্যাতনের ৫ হাজার ৫৭১টি সুস্পষ্ট অভিযোগ পায়। প্রকৃত চিত্র ছিলো তার চেয়েও ভয়াবহ। বিচার তো দুরে থাক, হামলা, সন্ত্রাস, লুটতরাজের অভিযোগ পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা করতে পারেনি। আজ তারা সম্প্রতির কথা বলে, মানবাধিকারের কথা কথা বলে!

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, এদেশের সনাতন ধর্মের অনুসারীদের আত্মার আত্মীয় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সরকার এর পেছনের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন করবে মাইনরিটি বান্ধব শেখ হাসিনা সরকার সবসময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে রয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকীতে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে ও উস্কানী দিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরোধী তাদের অবস্থানকে স্পষ্ট করেছে বলে জানান তিনি।

এসময়, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ২৬ মার্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সকাল ৭:৩০ মিনিটে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন। ৮:৩০ মিনিটে ঐতিহাসিক ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। ২৮ মার্চ সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে যেখানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর