ভারত সফরে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব, মোদির সঙ্গে বৈঠক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। গতকাল

শুক্রবার (১৯ মার্চ) তিনদিনের সফরে ভারত পৌঁছন তিনি। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, অস্টিনের সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

দুই দেশের মধ্যে সাধারণ আলোচ্য বিষয় যেমন–গণতন্ত্র, বহুত্ববাদের মতো বিষয়ের উপর জোর দেন মোদি।

 

বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের তিনদিনের ভারত সফরে গুরুত্ব পেতে পারে মূলত দু’টি বিষয়। প্রথমত, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সামরিক সংঘর্ষ। এবং দ্বিতীয়ত, রাশিয়ার থেকে এস ৪০০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম কেনা।

জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম কোনও মার্কিন ক্যাবিনেট সদস্য ভারত সফরে এলেন।

নয়াদিল্লিতে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন। ভারত-মার্কিন সামরিক এবং প্রতিরক্ষা সমঝোতা বৃদ্ধিই লয়েডের সফরের মূল লক্ষ্য।

আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব। তারপরে অস্টিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত-সহ তিন বাহিনীর প্রধান। উল্লেখ্য, লয়েডই আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা সচিব।

তাঁর সফরে দু’দেশের আগামী চার বছরের সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি নির্ধারিত হবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলী সহযোগী। সেই সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে চায় আমেরিকার নবনির্বাচিত বাইডেন প্রশাসন। তাই নির্বাচিত হওয়ার দু’মাসের মধ্যে ভারতে তাদের প্রতিরক্ষা সচিবকে পাঠাচ্ছে হোয়াইট হাউস।

 

নয়াদিল্লিতে নেমে শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেছেন লয়েড। তাঁর মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকের পর টুইট করে বিশ্ব মঙ্গলের লক্ষ্যে দু’দেশের কৌশলগত বোঝাপড়া বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবও জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলোচনা সদর্থক হয়েছে।জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন অস্টিন।

কোয়াড শীর্ষবৈঠকের পর জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেছেন লয়েড। তারপর এলেন ভারতে। চিনা আগ্রাসন, সন্ত্রাসবাদের বিপদ এবং দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা নিয়ে লয়েড নয়াদিল্লির সঙ্গে কথা বলবেন।

চিন বা অন্য কোনও আগ্রাসী শক্তির মোকাবিলায় কৌশল তৈরি এবং সমঝোতা বৃদ্ধিই লক্ষ্য। কারণ, ইন্ডো-প্যাসিফিক অঞ্চল এবং দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের আগ্রাসী এবং একগুঁয়ে মনোভাব উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হোয়াইট হাউসের।

অন্যদিকে, মার্কিন সেনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান বব মেনেন্ডেজ একটি চিঠি দিয়েছেন লয়েড অস্টিনকে। তাতে, তিনি অনুরোধ করেছেন, ভারত কেন রাশিয়ার থেকে এস ৪০০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম কিনছে, তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। ভারত-রাশিয়া প্রতিরক্ষা সমঝোতা বা ঘনিষ্ঠতাও ওয়াশিংটনের অন্যতম চিন্তা। ভারতকে সর্বোতভাবে পাশে চায় আমেরিকা।

বৈশাখী নিউজজেপা