মোজাম্বিকে ১৮০ জনের বেশি হোটেলে আটকা

মোজাম্বিকের উত্তরাঞ্চলীয় এক শহরের একটি হোটেলের অভ্যন্তরে বিদেশি কর্মীসহ ১৮০ জনেরও বেশি মানুষ আটকা পড়েছে। জঙ্গিরা হামলা চালানোর পর তিন দিন ধরে তাদের সেখানে জিম্মি করে রেখেছে।

শুক্রবার নিরাপত্তা সূত্র ও কর্মীরা এ কথা জানিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র ও একটি মানবাধিকার গ্রুপ জানায়, কাগো দালগাদো প্রদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রের কাছে পালমায় হামলার পর বেশ কয়েকজনের নিহত হওয়ার খবর জানা গেছে।

আফ্রিকার বৃহত্তম দুই হাজার কোটি ডলারের এ প্রকল্পে প্রধান বিনিয়োগকারী হচ্ছে ফরাসি তেল কোম্পানি টোটাল। ওই গ্যাস ক্ষেত্রে এক্সনমবিলসহ আরো ছয়টি আন্তর্জাতিক কোম্পানির বিনিয়োগ রয়েছে।

জিহাদি যোদ্ধারা বুধবার বিকেলে উপকূলীয় এ শহরে হামলা চালানো শুরু করে। এতে বাধ্য হয়ে আতংকিত বাসিন্দারা আশপাশের বনাঞ্চলে পালিয়ে যায় এবং এলএনজি ও সরকারি কর্মীরা আমেরুলা পালমা হোটেলে আশ্রয় নেয়।

এলএনজি সাইটে থাকা এক কর্মী শুক্রবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে বলেন, জিহাদিদের হামলায় ‘প্রায় পুরো শহর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এতে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।’ এ কর্মীকে আফুঙ্গিতে সরিয়ে নেয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি নিহতদের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘স্থানীয়রা বনাঞ্চলে পালিয়ে গেলেও বিদেশিসহ এলএনজি কোম্পানির কর্মীরা হোটেল আমারুলায় থাকতে অস্বীকৃাত জানান। নিরাপদ কোন স্থানে চলে যাওয়ার জন্য সেখানে তারা অপেক্ষা করছে।’

মানবাধিকার গ্রুপ জানায়, স্থানীয়ভাবে আল-শাবাব হিসেবে পরিচিত একটি গ্রুপের সাথে হামলাকারীদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

বৈশাখী নিউজজেপা