শ্রমিকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত লকডাউন ও বিধি-নিষেধ শুরু হচ্ছে। এসময় উৎপাদনে যুক্ত থাকা সব শিল্প কারখানার শ্রমিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১২ এপ্রিল) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত শ্রম পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এসব কথা বলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর এবং শ্রম অধিদফতরের সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ২৩ কমিটিকে শ্রমিকদের সুরক্ষায় কঠোরভাবে কাজ করতে হবে। দেশ ও জাতির উন্নয়নের চাবিকাঠি শ্রমিকদের হাতে। সরকার, মালিক-শ্রমিক সবাই মিলে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে এবং উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে হবে।’
করোনাকালীন কর্মহীন শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর দেওয়া আর্থিক সহায়তার সুবিধার কথা তুলে ধরেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কারখানা পর্যায়ে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আরও আন্তরিক হতে হবে। একইসঙ্গে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের সর্বোচ্চ তৎপর হতে হবে। আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিশ্চিত করা এবং পর্যায়ক্রমে ছুটির বিষয়ে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির আরও একটি সভা আহ্বান করা হবে।’
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম এর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রেজাউল হক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আব্দুল লতিফ খান, শিল্প পুলিশের ডিআইজি মাহবুবুর রহমান, বিকেএমইএ এর প্রথম সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমই এর সিনিয়র অতিরিক্ত সচিব মুনসুর খালিদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল আহসান, শ্রমিক নেতা নাইমুল আহসান জুয়েল প্রমুখ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর এবং শ্রম অধিদফতরের সাতটি আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন।
বৈশাখী নিউজ/ জেপা