সম্পর্কোন্নয়নে সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

সৌদি আরব ও পাকিস্তান দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে শনিবার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। বিতর্কিত কাশ্মীর প্রশ্নে এ দুই ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশের মধ্যে মাসের পর মাস ধরে চলা সম্পর্কের টানাপোড়নের পর তারা এমন চুক্তি করলো। খবর এএফপি’র।

২০১৮ সালের নির্বাচনের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দেখতে যাওয়া প্রথম বিদেশি দেশ সৌদি আরব হলেও গত বছর ইসলামাবাদের সাথে রিয়াদের সম্পর্কের চিড় ধরতে দেখা যায়।

সম্পদশালী এ দেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কয়েক বিলিয়ন ডলারের ত্রাণ ও ঋণ দিয়ে পাকিস্তানকে সহায়তা করলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন সৌদি আরব তাদের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার এবং সৌদি তেল আমদানিকারক দেশ ভারতকে চটাতে চায়নি।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান ও ইমরান খানের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনায় তারা সহযোগিতা সম্প্রসারণ ও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি তিন দিনের সফরে শুক্রবার সৌদি আরবে পৌঁছান।

দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরো জানায়, উভয় দেশের কর্মকর্তারা অপরাধমূলক কর্মকান্ড মোকাবেলায় পশ্চিমাঞ্চলীয় জেদ্দা নগরীতে দু’টি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

তারা মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি জ্বালানি, অবকাঠামো, পরিবহন, পানি ও যোগাযোগ প্রকল্পে অর্থায়নের ব্যাপারে দু’টি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরের বিষয়েও সম্মত হন।

এ দুই দেশ একটি শক্তিশালী সমন্বয় পরিষদ গঠনে ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে।

এ সফরকালে খান রিয়াদের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়ে এবং সৌদি আরবে প্রায় ২৫ লাখ পাকিস্তানী কর্মীর চাহিদার ওপর বেশি গুরুত্ব দেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ইতোমধ্যে তিনি ছয়বার সৌদি আরব সফর করেন।

কূটনৈতিক সূত্র গত সেপ্টেম্বরে এএফপি’কে বলেছে, গত বছর সৌদি আরব তিন বিলিয়ন ডলার ঋণের মধ্যে এক বিলিয়ন ডলার প্রত্যাহার করে নেয়ায় পাকিস্তান আর্থিক চাপের মুখে পড়ে এবং ইসলামাবাদকে দেয়া কয়েক বিলিয়ন ডলারের তেল ঋণ সুবিধার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তা এখন পর্যন্ত নবায়ন করা হয়নি।

বৈশাখী নিউজ/ এপি