মধুরী দীক্ষিতের জন্মদিন আজ

আপডেট: May 15, 2021 |

তার হাসিতে মন হারায় সবাই। গ্ল্যামার আর অভিনয়ে তো তিন দশকের বেশি সময় ধরে মাতিয়ে যাচ্ছেন। তার বয়সের ঘরে যোগ হয়েছে ৫৪ বছর। তবু এখনকার নায়িকাদের চেয়ে তার রূপ-লাবণ্য কম কিসে!

বলছি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের কথা। বলিউড সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম সেরা জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিনি। নাচের দিক দিয়েও তিনি একাধিক প্রজন্মের নায়িকাদের কাছে আদর্শ।

এছাড়া আশি ও নব্বই দশকে তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী। আজ নন্দিত এই অভিনেত্রীর জন্মদিন।

১৯৬৭ সালের ১৫ মে মুম্বাইতে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেজন্য ছোট বেলায় ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হয়েছে তাকে।

তবে সংস্কৃতির চর্চায় মাধুরীকে তার পরিবার তেমন বাধা দেয়নি। তাই ছোট বেলাতেই কথ্যক নাচের তালিম নেন। পাঠ্য জীবনে প্রথমে ডিভাইন চাইল্ড হাইস্কুল এবং পরবর্তীতে মুম্বাই ইউনিভার্সিটিতে মাইক্রোবায়োলজি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই একটি সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পান মাধুরী। ‘অবোধ’ নামের সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৮৮৪ সালে। এতে তার নায়ক ছিলেন কলকাতার তাপস পাল। সিনেমাটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়নি। কিন্তু মাধুরী নজর কাড়েন অনেকের।

এরপর আরও কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেন মাধুরী। কিন্তু সাফল্য ধরা দেয়নি। সবগুলো সিনেমাই ফ্লপ হয়। ১৮৮৮ সালে মাধুরীর ক্যারিয়ার ঘুরে দাঁড়ায় ‘তেজাব’ সিনেমার মাধ্যমে। এখানে তিনি অনিল কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। সিনেমাটি সে বছর সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমার খেতাব পায় এবং মাধুরী পান তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।

এরপর তো সাফল্যময় পথচলা। একে একে প্রায় ৭০টি সিনেমায় অভিনয় করেন মাধুরী দীক্ষিত। বলিউডের প্রথম সারির সব তারকার সঙ্গেই কাজ করেছেন তিনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ‘রাম-লক্ষ্মণ, ‘দিল’, ‘সাজন’, ‘বেটা’, ‘খলনায়ক’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘দেবদাস’, ‘আনজাম’, ‘কয়লা’, ‘হাম তুমহারে হ্যায় সানাম’ ও ‘টোটাল ধামাল’ ইত্যাদি।

মাধুরী দীক্ষিত তার বর্ণিল ক্যারিয়ারে পাঁচবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন। চারবার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড ও দুইবার জি সিনে অ্যাওয়ার্ডসহ ৪৮টি পুরস্কার পেয়েছেন। ২০০৮ সালে ভারত সরকার মাধুরী দীক্ষিতকে সম্মানজনক ‘পদ্মশ্রী’-তে ভূষিত করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জননী। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের চিকিৎসক শ্রীরাম মাধব নেনেকে ১৯৯৯ সালে বিয়ে করেছিলেন মাধুরী। এরপর থেকে মাধুরীর নামের শেষে ‘নেনে’ যোগ হয়।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর