২৬ থেকে ২৮ মে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ আঘাত হানবে
তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দেশ। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে সপ্তাহজুড়ে নেই বৃষ্টির সুখবরও। লঘুচাপটি শনিবার (২২ মে) রাত থেকে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ২৬ থেকে ২৮ মের মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জমজমাট শরববতের ব্যবসা দেখলেও কিছুটা আঁচ করা যায় তীব্র গরমে কতটা নাজেহাল নাগরিক জীবন। তবে, সহসাই তাপমাত্রা কমার সুখবর দিতে পারছে না আবহাওয়া অফিস। বরং তাদের পূবাভাস বলছে, আসছে সপ্তাহজুড়ে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ তামাত্রা ৩৬ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও বলছে, বঙ্গোপসাগরের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে লঘুচাপের সৃষ্টি হওয়ার কারণেই এ অসহনীয় দাবদাহ। তারা পূর্বাভাস দিচ্ছে, এ সপ্তাহের মধ্যে উষ্ণতা আরও বেড়ে এই লঘুচাপ নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। আর ঘূর্ণিঝড় হয়ে আছড়ে পড়তে পারে উপকূলবর্তী এলাকায়।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, ২২ তারিখের কাছাকাছি সময় এটা সেটা লঘুচাপ হতে পারে। আর যদি লঘুচাপ হয়ে সেটা স্টেজ পরিবর্তন করে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়, তবে সেটা যশ নাম ধারণ করবে।
পূর্বাভাস বলছে, শনিবার রাত থেকে রোববার সকালের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে। ফলে দেশের খুলনা, বাগেরহাট এবং ভারতের উড়িশ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবতী এলাকায় ৪৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার গতিতে বয়ে যাবে ঝড়ো হাওয়া। ২৬ মে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আঘাত হানতে পারে। ওমানের আবহাওয়াবিদরা এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছেন যশ।
বৈশাখী নিউজ/ এপি