কলকাতার একাধিক এটিএম থেকে উধাও লাখ লাখ টাকা

আপডেট: June 1, 2021 |

ভারতের কলকাতা মহানগরীর বুকে নতুন হ্যাকিং পন্থায় এটিএম লুঠের ঘটনায় জেরবার রাজ্য গোয়েন্দারা। নিউ মার্কেট, যাদবপুর ও কাশীপুরের পর এবার বউবাজার থানা এলাকার একটি এটিএম থেকে ২৫ লাখ টাকা উধাও হয়ে গেছে।

শহরের একাধিক এটিএম থেকে লাখ লাখ টাকা জালিয়াতির ঘটনার তদন্তে নেমে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গোয়েন্দাদের কপালে। এটিএম অক্ষত। মেশিনে কোথাও কোনও আঁচড়ের দাগ নেই। অথচ এটিএমের মধ্যে থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা!‌

গোয়েন্দাদের অনুমান, নতুন হ্যাকিং পদ্ধতি ব্যবহার করে একের পর এক এটিএম থেকে টাকা লুঠ করছে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন কলকাতা পুলিশের নগরপাল সৌমেন মিত্র।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই বিষয় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মার সঙ্গে বৈঠক করেছেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল। কলকাতা পুলিশের ডিসি ডিডি (স্প্যেশাল)’‌র নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল গঠন করছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। এই দলের মাথায় থাকছেন খোদ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা।

এ বিষয়ে তদন্তের সাহায্য চেয়ে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি এই তদন্তে অগ্রগতির জন্য এবার ভিন রাজ্যেও যেতে চান গোয়েন্দারা। শহরে নজরদারি বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে৷

গত ১৪ মে থেকে ২২ মে-র মধ্যে নিউ মার্কেট, যাদবপুর ও কাশীপুর থানা এলাকার বেশ কয়েকটি এটিএম থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে মোট ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু কীভাবে নিমেষে ব্যাঙ্কের ভাঁড়ার খালি করছে জালিয়াতরা, তার হদিশ পেতে কালঘাম ছুটছে সাইবার বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের অনুমান, এই ঘটনার পিছনে হ্যাকারদের বিশেষ কারসাজি রয়েছে।

পুলিশ ও বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ধরণের জালিয়াতিতে ব্যবহার হচ্ছে ‘‌ম্যান ইন দ্য মিডল অ্যাটাক’‌(এমআইটিএমএ) পদ্ধতি। সেটা কী? সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ব্যাঙ্ক ও এটিএমের মধ্যে যে দু’টি কম্পিউটারের সাহায্য সংযোগ করা থাকে।

হ্যাকাররা বাইরের কোনও কম্পিউটার থেকে হ্যাক করে ব্যাঙ্কের সেই সংযোগকারী কম্পিউটারের মধ্যে ঢুকে পড়ছে। তার আগে এটিএমের ওপরের অংশের হুড খুলে ‘‌লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক‌’‌ বা ল্যানের সঙ্গে (‌এমআইটিএমএ)‌ যন্ত্রটি জুড়ে দিচ্ছে।

এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যাঙ্কের সঙ্গে এটিএমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সক্ষম হচ্ছে জালিয়াতরা। এই পদ্ধতিতে এটিএমের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কবজায় নিয়ে নিচ্ছে হ্যাকাররা। ফলে খুব সহজেই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। অথচ সেই টাকা তোলার তথ্য জানতেই পারছে না ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।খবর:হিন্দুস্তান টাইমস

বৈশাখী নিউজ/ বিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর