চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট: June 6, 2021 |
print news

করোনাভাইরাস মহামারীর ক্ষতি বিবেচনায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ বছর করার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা চাকরিপ্রত্যাশী একদল তরুণ।

রোববার দুপুরে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই দাবিতে ১১ জুন তারা শাহবাগে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তানভীর হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “দেশে এখনও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলমান এবং আরও দীর্ঘ হতে যাচ্ছে। করোনায় শিক্ষার্থীদের প্রায় দুই বছর জীবন থেকে অতিবাহিত হতে চলছে।

“সরকারের সকল প্রণোদনার পাশাপাশি মুজিববর্ষের ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির বছরে আমরা বেকার যুবকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট প্রণোদনা স্বরূপ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করার দাবি জানাচ্ছি।”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থী মার্জিয়া সুলতানা বলেন, “করোনাকালে ২০২০ সালে একটি প্রজ্ঞাপন দিয়ে বলা হয়েছিল, যাদের বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে আসন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোতে তাদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে।

“কিন্তু বেশিরভাগ বিজ্ঞপ্তিগুলোতেই সেই নীতি অনুসরণ করা হয়নি। হাতেগোনা কয়েকটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেই সুযোগ দেওয়া হয়েছিল যেগুলোর বেশিরভাগই তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর চাকরির।”

তিনি জানান, এক বছরের বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের এই মহামারীতে হাতেগোনা কয়েকটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও তা ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। অনুষ্ঠিত হয়েছে ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারির মতো মাত্র কয়েকটি পরীক্ষা।
‘করোনাকালীন প্রণোদনা হিসেবে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ চাই’ দাবি জানিয়ে দুই মাসের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ডালিয়া আহম্মেদ।

এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি ও খোলা চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “এমন কোনো কর্মসূচিতে যাইনি, যাতে রাষ্ট্র ও সরকারকে বিব্রত হতে হয় বা জনজীবনে সমস্যার সৃষ্টি হয়। সরকার যদি আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সাড়া না দেয়, আহলে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব আমরা।”

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা লাবিব হাসান, অক্ষয় রায়, এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থী মো. মানিক হোসেন রিপন উপস্থিত ছিলেন।

 

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর