ভাতা কমছে সরকারি চাকরিজীবীদের

আপডেট: August 15, 2021 |

করোনাকালীন পরিস্থিতিতে বাসা কিংবা অফিসে বসে জুমে সংযুক্ত হয়ে বিষয়ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিজীবীদের ভাতা কমানো হচ্ছে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উপসচিব মোছাঃ নারগিস মুরশিদা স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। গত ৯ আগস্ট অর্থমন্ত্রণালয়ে ওয়েবসাইটে নির্দেশনাটি প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে-

১. প্রশিক্ষকগণ ধার্যকৃত হারে সম্মানি প্রাপ্য হবেন।

২. প্রশিক্ষণার্থীগণ ধার্যকৃত হারের অর্ধেক প্রশিক্ষণ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

৩. আপ্যায়ন বাবদ কোনো ব্যয় করা যাবে না।

৪. কোর্স পরিচালক, কোর্স সমন্বয়ক এবং সাপোর্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ধার্যকৃত হারের অর্ধেক সম্মানী ভাতা প্রাপ্য হবেন।

৫. অর্থ বিভাগের ২২-৫-২০১৯ এর ১১১ নং স্মারকের অন্যান্য শর্তাবিল অপরিবর্তিত থাকবে।

এরইমধ্যে সব ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে যুক্ত প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণার্থী, কোর্স পরিচালকসহ অন্যদের ভাতা ও সম্মানীর নতুন হার নির্ধারণ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এতদিন দৈনিক ৫০০ টাকা করে দুপুরের খাবার ভাতা এবং দুই বেলা চা-নাশতার ভাতা ৮০ টাকা করে পেয়ে আসছিলেন প্রশিক্ষণার্থীরা। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রশিক্ষণ নিলে এ খাবার ভাতা ও চা-নাশতার ভাতা আর দেওয়া হবে না বলেও নিশ্চিত করা হয় চিঠিতে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, অর্থ বিভাগের করা এবারের নতুন হার অনুযায়ী, গ্রেড ৯ থেকে তার ওপরের সরকারি চাকরিজীবী প্রশিক্ষণার্থীরা ভাতা পাবেন দৈনিক জনপ্রতি ৩০০ টাকা হারে। যা আগে ছিল ৬০০ টাকা। আর গ্রেড ১০ থেকে তার নিচের পর্যায়ের সব কর্মচারীরা ভাতা পাবেন ২৫০ টাকা করে যা ছিল ৫০০ টাকা।

এছাড়া ১৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে কোর্স পরিচালকদের সম্মানী ভাতা করা হয়েছে ৭৫০ টাকা। ১২০০ টাকার পরিবর্তে ৬০০ টাকা করে পাবেন কোর্স সমন্বয়কেরা আর ৫০০ টাকার পরিবর্তে সাপোর্ট স্টাফরা পাবেন ২৫০ টাকা।

নির্দেশনা যুগ্ম সচিব ও উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সম্মানী ভাতা কমানো হয়নি। প্রতি ঘণ্টার সেশনে যুগ্ম সচিব থেকে তার ওপরের পর্যায়ের কর্মচারীরা ২ হাজার ৫০০ টাকা করে এবং উপসচিব থেকে তার নিচের পর্যায়ের কর্মচারীরা দুই হাজার টাকা করে যে সম্মানী পেয়ে আসছিলেন, তা বহাল রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, করোনার কারণে ব্যয় কমানোর অংশ হিসেবেই ভাতা ও সম্মানী কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই কারণে গত ১ জুলাই সরকারি কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ ও গাড়ি কেনায় লাগাম টানতেও পদক্ষেপ নিয়েছে অর্থ বিভাগ।

মূলত, প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই দেশে অনলাইন সভা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের দিকে ঝোঁকে সরকারি দপ্তরগুলো। এসব বৈঠকে সরাসরি যোগ না দিয়েও ভাতা হিসেবে নগদ টাকা পেয়ে আসছিলেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এ নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার মুখে পড়ে বেশ কয়েকটি দপ্তর।

বিজ্ঞপ্তি দেখতে ক্লিক করুন

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর