রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের দাবি মিথ্যা : যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট: February 17, 2022 |
print news

ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে রাশিয়া যে দাবি করেছে, তাকে মিথ্যা আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তার দাবি, নতুন করে ওই এলাকায় আরও ৭ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে মস্কো। এ কর্মকর্তার দাবি ইউক্রেনে ‘যেকোনও মুহূর্তে’ আগ্রাসন চালাতে মিথ্যা অজুহাত দেওয়া শুরু করতে পারে রাশিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মার্কিন ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করেনি বিবিসি। তবে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, সর্বশেষ কয়েকদিনে ইউক্রেন সীমান্তে নতুন করে আরও ৭ হাজার সেনা জড়ো করেছে রাশিয়া। একই সঙ্গে মিথ্যা অজুহাতে রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা করতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন রেখেছে প্রতিবেশী রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।

তবে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বলছে যে, যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা করে বসতে পারে রাশিয়া। একই আশঙ্কা প্রকাশ করছে ওয়াশিংটনের অন্যান্য মিত্র দেশগুলোও। এমনকি বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এই হামলা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। যদিও হামলার বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তারিখের কথা নিশ্চিত করেনি বাইডেন প্রশাসন।

এ পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার রাশিয়া জানায়, সামরিক মহড়া শেষে ইউক্রেনে সীমান্ত থেকে ঘাঁটিতে ফিরতে শুরু করেছে রুশ সেনারা। কিন্তু পশ্চিমা দেশের কর্মকর্তারা বলছেন, মস্কোর এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ তারা পাননি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাসভবন হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বুধবার সংবাদিকদের বলেন, ‘মঙ্গলবার ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে রুশ সরকার। সেনা সরানোর বিষয়ে মস্কোর এই দাবি যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বের ব্যাপক মনোযোগ পেয়েছে। কিন্তু আমরা জানি এটি (সেনা সরানোর দাবি) মিথ্যা।’

এদিকে রাশিয়ার সেনা সরানোর দাবির পর বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলার এখনো জোরালো আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে হামলা হলে বহু সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হবে এবং রাশিয়ার অর্থনীতির বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর