১২ মার্চ ১৯৭১: পাকিস্তান দিবসের কর্মসূচি বাতিল ঘোষণা

আপডেট: March 12, 2022 |
print news

একাত্তরের মার্চে অগ্নিঝরা দিনগুলো যতই এগোচ্ছিল, বাঙালির অসহযোগ আন্দোলন তীব্রতর হচ্ছিল।প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের জন্য খাদ্য বোঝাই মার্কিন জাহাজের গতি বদলে করাচি পাঠানোয় নিন্দা জানান।

এক সরকারি ঘোষণায়, ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসের নির্ধারিত সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজ, খেতাব বিতরণ ও অন্যান্য অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়।

জাতীয় পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ জহিরউদ্দিন পাকিস্তান সরকারের দেওয়া খেতাব বর্জন করেন। পূর্ব বাংলার চলচ্চিত্র প্রদর্শকরা বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে অনির্দিষ্টকাল প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তারা আওয়ামী লীগের সাহায্য তহবিলে ১৩ হাজার ২৫০ টাকা অনুদানও দেন।

বগুড়া জেলখানা ভেঙে এদিন ২৭ জন কয়েদি পালিয়ে যায়। কারারক্ষীদের গুলিতে একজন কয়েদি নিহত ও ১৫ জন আহত হন। সরকারি-আধাসরকারি অফিসের কর্মচারীরা কর্মস্থল বর্জন অব্যাহত থাকে। বাসাবাড়ি ও সব প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উড়তে থাকে।

এদিন দৈনিক পাকিস্তানের এক খবরে বলা হয়, বাঙালি সিএসপি কর্মকর্তারা চলমান আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করেছেন। আওয়ামী লীগের তহবিলে একদিনের বেতন দেন তারা।

এদিন লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে গণঐক্য আন্দোলনের প্রধান এয়ার মার্শাল (অব.) আসগর খান বলেন, পূর্বাঞ্চলের জনসাধারণ সমান অধিকার নিয়ে থাকতে চায়, পশ্চিমাঞ্চলের দাস হিসেবে নয়। পাকিস্তানকে রক্ষা করার একটিমাত্র পথ খোলা। আর তা হচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর