নির্মম হত্যাযজ্ঞের সর্বোচ্চ শাস্তি চাইলেন অ্যাটর্নি জেনারেল

আপডেট: August 3, 2025 |
inbound6355250889214359535
print news

জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে সংঘটিত ‘নির্মম হত্যাযজ্ঞের’ সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রোববার (৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ সূচনা বক্তব্যে তিনি এই আবেদন জানান। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “আমরা আইনি কাঠামোর মধ্যেই ন্যায়বিচার চাই। কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা এসেছি। আমরা চাই বিচার হোক ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে উদাহরণ হয়ে থাকুক।”

তিনি আরও বলেন, “বিগত সময়ের গুম-খুনের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবসান প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে চাঁদাবাজি, টাকা পাচার আর হত্যা চলেছে। এরই বিরুদ্ধে ছিল বৈষম্যবিরোধী জুলাই আন্দোলন।”

শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “যদি স্বৈরাচারদের কোনো সমিতি হয়, তবে শেখ হাসিনা তার সভাপতি হতে পারেন। আর মিথ্যার পিএইচডি করতে হিটলারকেও শেখ হাসিনার কাছে আসতে হতো।”

এই মামলার অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। মামলার অন্যতম আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন মানবতাবিরোধী অপরাধ স্বীকার করে এখন রাজসাক্ষী হিসেবে বিবেচিত।

গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি গুরুতর অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে: দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ হত্যায় প্ররোচনা ও নির্দেশ, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ’।

প্রসিকিউশন ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ সংক্রান্ত অডিও রেকর্ড এবং অন্যান্য সাক্ষ্যপ্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করেছে। মামলায় সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা ও একজন জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকসহ মোট ৮১ জন।

গত বছরের ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর