বগুড়ায় হানি ট্র্যাপে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি, নারীসহ গ্রেপ্তার ৭

আপডেট: August 30, 2025 |
inbound1444644783451815210
print news

শাহজাহান আলী, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়া সদর উপজেলার চকসূত্রাপুর এলাকায় অভিনব কায়দায় সম্পর্ক তৈরি করে এক ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীকে বাড়িতে ডেকে উলঙ্গ করে ছবি তোলে এবং পরে ৪ লাখ টাকা দাবি করে হানি ট্রাপিং চক্রের সদস্যরা।

২৮ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বিকাল আনুমানিক ৫ টার সময় এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ভুক্তভোগীকে মারধর করায় তিনি চিৎকার করলে স্হানীয়রা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি) তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্হল থেকে তিন নারী ও চার পুরুষসহ মোট ৭ জনকে আটক করে।

পুলিশ জানায়, আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কায়দায় সম্পর্ক তৈরি করে এমন নেক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে আসছিল।তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

আটককৃতরা হলেন- চেলোপাড়ার মহসিন কাজি(২৫), একসূত্রাপুর চামড়া প্রট্রির মতিন সরকারের ভাই ওমর সরকার(৩৫), কেয়া বেগম(৩৩), আফসানা মিমি(২৪), কামরুনাহার অধোয়া(২২), এমামুল হোসেন ওরফে(রায়হান(২৭) ও নয়ন হোসেন(৩৫)। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে জিম্মিদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া,৫ হাজার ১০০ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।

এদের মধ্যে মহসিন কাজী সিজানের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা আইন,চুরি ও মারামারিসহ ৬টি মামলা,এনামুল হোসেন রায়হানের বিরুদ্ধে অপহরণ, চুরি ও মারামারিসহ ৬টি মামলা,আলোচিত এমর সরকার বিরুদ্ধে হত্যা, চুরি, মারামারি ও মাদকসহ ৬টি মামলা এবং নয়ন হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ইকবাল বাহার জানান,জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার ফজলুলর রহমান(৪৪) মাসখানেক আগে তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলে কেয়া বেগমের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।

পরে মোবাইল নম্বর বিনিময় করা হয়।গত বৃহস্পতিবার সকালে কেয়ে বেগম ফোন করে ফজলুর রহমানকে বগুড়া শহরের তিনমাথা এলাকায় আসতে বলেন।

তিনি এলে কেয়া ও তার সহযোগীরা তাকে একসূত্রাপুরেরআ একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে আটকে রাখে।এর কিছুক্ষণ পর তার এক সহযোগীকেও সেখানে ডেকে এনে আটকিয়ে রাখা হয়।

বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখা( ডিবি) ইনচার্জ ইকবাল বাহার আরও জানান, ভুক্তভোগীদের মারধর করে কাছ থেকে নগদ টাকা ও মাবাইল ছিনিয়ে নেয়া হয় এবং ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে চক্রটি।

জিম্মিদের পরিবার বিষয়টি ডিবিকে জানালে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে উদ্ধার ও সাতজনকে গ্রেফতার করে। এটি একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও জানান গ্রেফতারকৃত ওই ৭ জনকে আজ শুক্রবার আদালতে পাঠানো হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর