চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে লাখো মানুষের ঢল

আপডেট: September 6, 2025 |
inbound1582274672851616829
print news

লাখ লাখ আশেকে রাসূলের অংশগ্রহণে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে ৫৪তম জশনে জুলুস।

ঐতিহ্যবাহী জুলুসকে ঘিরে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে ষোলশহর, বিবিরহাট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, দুই নম্বর গেইট, জিইসি এলাকা।

হামদ, নাতে রাসূল, দরুদ ও স্লোগানে কণ্ঠ মেলাচ্ছেন তারা।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকা থেকে জুলুস শুরু হয়।

আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট আয়োজিত জুলুসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দরবারে সিরিকোটের সাজ্জাদানশিন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ (ম জি আ)।

সঙ্গে আছেন সাহেবজাদা হজরত সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ (ম জি আ), সৈয়দ মুহাম্মদ মেহমুদ আহমদ শাহ (ম জি আ) ও আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

এবারের জুলুসে জাতীয় পতাকা, আনজুমান ট্রাস্টের পতাকা ছাড়া অন্য পতাকা, ড্রাম সেট আনা, নারীর অংশগ্রহণ ও খাবার নিক্ষেপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

জুলুস বিবিরহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, জিইসি ঘুরে একই পথে ফিরে আসবে জামেয়া মাদরাসার জুলুস মাঠে। সেখানে মাহফিল, জোহর নামাজ ও দেশ জাতির সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হবে।

জুলুসের সার্বিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও নির্ধারিত স্বেচ্ছাসেবকদের দিকনির্দেশনা বিশেষ করে আনজুমান ট্রাস্ট ঘোষিত নিয়ম মেনে চলার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন আনজুমানের মুখপাত্র অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার।

জুলুসে অংশ নিতে কাদেরিয়া তরিকতের অনুসারী, জামেয়ার সাবেক ছাত্ররা বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে এসেছেন।

ভোর থেকে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার গাউসিয়া কমিটি, আনজুমান পরিচালিত বিভিন্ন মাদ্রাসা, পাড়া মহল্লা এমনকি ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল নিয়ে মানুষ আসতে থাকেন জুলুস মাঠে।

প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে মাইলের পর মাইল হেঁটে জুলুসে অংশগ্রহণকারীদের শরবত, পানি, রুটি, জিলাপি, খেজুর, কলা, চকলেট দিয়ে আপ্যায়ন করছেন ভক্তরা।

জুলুসকে ঘিরে ষোলশহর জুড়ে বসেছে প্রাণের মেলা। অস্থায়ী দোকানে আতর, টুপি, তসবিহ, পাঞ্জাবি, ইসলামি বই, খাবার, শরবত, দেশি ফলমূল, চা, নাশতা, বিরিয়ানি, পতাকা, মাথার ফিতা, ব্যাজ ইত্যাদি।

জুলুসকে স্বাগত জানিয়ে নগরের বিভিন্ন স্থানে সুদৃশ্য তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও আনজুমানের পতাকাসহ আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

জুলুসে নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

চট্টগ্রামে জশনে জুলুসের প্রবর্তন হয়েছে ১৯৭৪ সালের ১২ রবিউল আউয়াল। দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের (পাকিস্তান) তৎকালীন সাজ্জাদানশীন, আধ্যাত্মিক সাধক, আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রা.) এ জশনে জুলুসের প্রবর্তন করেন। জুলুসের মধ্য দিয়ে প্রিয় নবীজীর প্রতি সম্মান ও বিশ্বশান্তির বার্তা দেওয়া হয়।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর