ছাত্রীকে ওড়না ছাড়া দেখার আবদার অধ্যক্ষের, কলেজ গেটে স্ক্রিনশট ঝুলিয়েছে ছাত্ররা

আপডেট: September 14, 2025 |
dsds 4
print news

আপত্তিকর মেসেজ পাঠানোসহনওগাঁয় কলেজছাত্রীদের অবৈধ সম্পর্কে জড়াতে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত বিভিন্ন স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কলেজ গেটে বিভিন্ন স্ক্রিনশট ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা।

এসব স্ক্রিনশটে ছাত্রীদের ওড়না ছাড়াসহ বিভিন্ন সাজে দেখার আবদার করতে দেখা গেছে অধ্যক্ষ সামসুল হককে। ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটগুলো যাচাই সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশটগুলোর একটিতে দেখা যায়, অধ্যক্ষ সামসুল হক তার ছাত্রীর সৌন্দর্যের প্রশংসা করছেন। প্রশংসার এক পর্যায়ে ছাত্রীকে সামসুল হক লেখেন, ‌আরও সুন্দরী ছবি আছে তোমার। উত্তরে ওই শিক্ষার্থী বলেন, আর নেই স্যার। আমি সুন্দর না। আমার যা মনে হয়।

তখন সামসুল হক লেখেন, আছে আছে, ওড়না ছাড়া। উত্তরে শিক্ষার্থী বলেন, নেই স্যার, স্যরি স্যার। তাৎক্ষণিক সামসুল হক বলেন, কলেজে দেখেছি তো। উত্তরে শিক্ষার্থী বলেন, না স্যার। স্যরি। নেই স্যার। মাফ করবেন। এরপর সামসুল হক বলেন, ওকে, সামনেই দেখবো। অনেক অনেক অনেক ভালো থেকো। বাই।

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ওই শিক্ষার্থী বলেন, মেসেঞ্জারের এই কথোপকথন দুই বছর আগের। ওই সময়ে বিএমসি মহিলা কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন সামসুল হক স্যার। সেখানে একাদশ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় কলেজে যাতায়াতের সময় প্রায়ই উনি (অধ্যক্ষ) আমার সঙ্গে কথা বলতেন। এভাবে একদিন আমার সঙ্গে ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় যুক্ত হন। এরপর ফেসবুকে কোনো ছবি স্টোরি দিলে অশ্লীল মন্তব্য করতেন। একপর্যায়ে উনি আমার কাছে থেকে ওড়না ছাড়া ছবি চান। ওই মুহূর্তে তাকে ব্লক করে স্ক্রিনশট রেখে দিই।

ভাইরাল হওয়া আরেক স্ক্রিনশটে দেখা যায়, দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর ফেসবুকের স্টোরিতে শেয়ার করা ছবিতে ‘অতীব চমৎকার’ লিখে প্রশংসা করেছেন অধ্যক্ষ সামসুল হক। গত ৩১ মার্চে মেসেঞ্জারের নোটে ওই শিক্ষার্থী একটি হিন্দি গান সেট করে লেখেন, ‘কিছু মানুষের সাথে দূরত্ব হওয়া ভীষণ দরকার’। ওই নোটের রিপ্লাই দেন সামসুল হক। তিনি ওই শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করে লেখেন, ‘আমি কি তার মধ্যে?’।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হকের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে সাংবাদিক পরিচয়ে মেসেজ পাঠালেও প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর