সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন সুবিধা বাড়ছে, দ্বিতীয় স্ত্রী-স্বামীও পাবেন সুযোগ

আপডেট: September 18, 2025 |
inbound4866727727693311744
print news

সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন-সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের পেনশন পুনঃস্থাপন, পরিবারের পেনশন এবং চিকিৎসাসহায়তার ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা চালু করা হয়েছে।

বর্তমানে, একজন পেনশনভোগী কর্মকর্তা মৃত্যুবরণ করলে তার প্রথম স্ত্রী বা স্বামী আজীবন পেনশন পান।

তবে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী কর্মকর্তাদের পুনঃস্থাপনের জন্য অপেক্ষাকাল বর্তমানে ১৫ বছর। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, এই সময়কাল কমিয়ে ১০ বছরে আনা হবে।

একই সঙ্গে, যারা কম বয়সে মারা গেছেন এবং পুনঃস্থাপনের সুযোগ পাননি, তাদের পরিবারের পেনশন প্রদান সংক্রান্ত বিষয় অর্থ বিভাগ খতিয়ে দেখবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আ ক ম সাইফুল ইসলাম চৌধুরী পেনশনভোগীদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। বৈঠকে নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে:

পেনশন পুনঃস্থাপনের সময়কাল: ১৫ বছর থেকে কমিয়ে ১০ বছর।

দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে পরিবারের পেনশন: পেনশনভোগীর মৃত্যুর পরে দ্বিতীয় স্ত্রী বা স্বামীকেও নিয়ম অনুযায়ী পেনশন প্রদানের সুপারিশ।

চিকিৎসা সহায়তা: জটিল রোগে আক্রান্ত পেনশনভোগীদের সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান।

প্রবাসী কর্মকর্তাদের সুবিধা: পেনশন সংক্রান্ত কাগজপত্র ও আনুষ্ঠানিকতার স্বাক্ষর প্রদানসহ অন্যান্য বিষয় মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পর্যালোচনা।

ভাতা বৃদ্ধি ও পুনঃস্থাপন সুবিধা: শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধি এবং পুনঃস্থাপিত হলে পুরোদমে ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা প্রদান।

মাসিক পেনশন: একবারে পুরো পেনশন উত্তোলনকারী অবসরপ্রাপ্তদের পুনঃমূল্যায়ন করা হবে, যাতে তারা পুনরায় মাসিক উপার্জন ও সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা পেতে পারেন।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি: জনপ্রশাসন সচিবকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয় অর্থ বিভাগ পর্যালোচনা করবে। এছাড়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে প্রচারণা চালানো হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “পেনশন-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে আগে থেকেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

অর্থ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, পেনশনভোগীদের সুবিধা বৃদ্ধি ও জটিলতা কমানো সরকারি নীতিমালার অঙ্গ হিসেবে কার্যকর হবে।

নতুন প্রস্তাবমালার বাস্তবায়ন হলে সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পেনশন প্রাপ্তি আরও সহজ, স্বচ্ছ ও সুবিধাজনক হবে। পাশাপাশি, পরিবারের পেনশন ও চিকিৎসাসহায়তার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নিয়ম থাকায় জনগণের আস্থা ও সামাজিক নিরাপত্তা আরও দৃঢ় হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর