এনসিপি-গণঅধিকার পরিষদ মিলে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল

আপডেট: September 21, 2025 |
inbound7299158406001675072
print news

চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে জাঁকজমকভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ করেছে। তবে সাত মাসের মধ্যেই দলটির শীর্ষ নেতারা আর এককভাবে রাজনীতি না করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছেন। এ লক্ষ্যে এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্যেই এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়েছে।

দলীয় সূত্রের দাবি, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যেই এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে আলোচনা চলছে এবং এ আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব দেখতে চায়। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তরুণরা তাদের সম্ভাবনা প্রমাণ করেছে।

ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে ভূমিকা রাখা তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হলে দেশের মানুষ আস্থা অর্জনের মতো একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম পাবে।’

তার ভাষায়, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে রাষ্ট্র সংস্কার পর্যন্ত—আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ের তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি।’

শাকিল উজ্জামান আরও বলেন, ‘এনসিপির অনেক নেতাই একসময় গণঅধিকার পরিষদ ও এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার মতে, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়েই গণঅভ্যুত্থানের বীজ বপন হয়েছিল।

গণঅধিকার পরিষদই রাজপথের আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা একমাত্র সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক দল।’

তিনি দাবি করেন, ‘গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী এক বছরেও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাবাজি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, তদবির বাণিজ্য কিংবা দুর্নীতির কোনো অভিযোগ ওঠেনি।

গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে আমরা অনেক দিন ধরেই এনসিপিসহ আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে জুলাইয়ের মূল অংশীজনদের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।’

এদিকে নতুন রাজনৈতিক দলের বিষয়ে এনসিপি নেতা সারজিস আলম গণমাধ্যমকে বলেন, অ্যাকোমোডেশনে কোন পদে কে থাকবেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ। একাধিক রাজনৈতিক দল থাকায় বিষয়টি আরও কঠিন হচ্ছে, কারণ সবাই আহ্বায়ক বা সদস্য সচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে চান।

এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণরা একসাথে কাজ করবেন এবং এ আলোচনা অব্যাহত থাকবে।’

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর