বিরোধী দলের চাপের মুখে পদত্যাগ করবেন না থাই-প্রধানমন্ত্রী
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা বলেছেন, বিরোধী দলের চাপের মুখে তিনি পদত্যাগ করবেন না।
পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বেশ কিছু দিন ধরে রাজধানী ব্যাংককে বিক্ষোভ করেছেন গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীরা। খবর আলজাজিরার।
আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথের পদত্যাগ এবং রাজতন্ত্রের সংস্কার। থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রকে গণ্য করা হয় অত্যন্ত পবিত্র এক প্রতিষ্ঠান হিসেবে। বহু বছর ধরে চলে আসা এ রীতি এখন আর মানতে চান না আধুনিক তরুণ-তরুণীরা। ফলে এ ইস্যুতে প্রতিটি থাই পরিবার এখন বিভক্ত।
গত কয়েক মাস ধরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ব্যাংককের রাস্তায় নেমে একনায়কত্বের পতন এবং রাজতন্ত্রের সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন। আটক নেতাকর্মীদের মুক্তিও চান তারা। তাদের কারও কারও হাতে নেতাদের ছবিও ছিল।
মানবাধিকারবিষয়ক থাই আইনজীবীরা বলছেন, ১৩ অক্টোবর থেকে পুলিশ প্রায় ৮০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে ২৭ জন এখনও জেলে। তবে পুলিশ আটক হওয়াদের প্রকৃত সংখ্যা জানায়নি।
প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার মুখপাত্র আনুচা বলেন, দেশজুড়ে এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের সুযোগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা সহিংসতা উসকে দিতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, সরকার আলোচনায় বসে একসঙ্গে একটি সমাধান খুঁজে পেতে চায়। তবে সরকার কার সঙ্গে কথা বলতে চায় সে বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করে বলেননি আনুচা।
থাইল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, রাজতন্ত্রের অবমাননা করলে ১৫ বছর কারাদণ্ড হতে পারে, কিন্তু তা আর গ্রাহ্য করছেন না আন্দোলনকারীরা। দীর্ঘদিন ধরে চলা বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে নিয়ম লঙ্ঘন করার মতো সাহসী হয়ে উঠছেন তারা।
কয়েক মাস ধরে ব্যাংককে হাজার হাজার মানুষ রাজতন্ত্রের সংস্কারের দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন। থাইল্যান্ডের শহর, গ্রাম- সর্বত্র, ঘরে ঘরে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাজাকে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হচ্ছে। এ রকম বিতর্ক যে কেবল সামনাসামনি চলছে তা নয়, এটি ঘটছে অনলাইনে, সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
বৈশাখী নিউজ/ফারজানা