ম্যারাডোনার মৃত্যুতে স্তব্ধ সাকিব
ফুটবল বিশ্বকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনা।
বুধবার নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৬০ বছর বয়সে মারা যান তিনি। বিশ্বজয়ী কিংবদন্তি এই ফুটবল তারকার মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ গোটা ফুটবল বিশ্ব।
ফুটবল থেকে অবসরের পর ম্যারাডোনার সঙ্গে অসুস্থতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। তবে ৬০তম জন্মদিন পালন করার পর এভাবে হঠাৎ তিনি চলে যাবেন, কেউ ভাবতে পারেননি।
ম্যারাডোনার মৃত্যুতে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘প্রতিটি প্রজন্মেই এমন খেলোয়াড় আছেন নিজেদেরকে এক একজন আইকনিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। আবার এমন কিছু খেলোয়াড় থাকেন যারা, নিজের প্রজন্মকে অতিক্রম করে যান এবং নিজেই সেই খেলাটির আইকন হয়ে ওঠেন।
দিয়াগো আরমান্দো ম্যারাডোনা একজন খেলোয়াড় যিনি ফুটবলকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছিলেন । তিনি মাঠের খেলায় ততটাই বিখ্যাত ছিলেন, যতটা আবার মাঠের বাইরে কুখ্যাতি অর্জন করেন নানা কারণে। তিনি যা কিছু করেছেন নিজের মত করেই করেছেন। হোক সেটা ভুল কিংবা শুদ্ধ।
তার অবিশ্বাস্য প্রতিভা, ফুটবল সুক্ষদর্শিতা এবং এই খেলাটির প্রতি ভালোবাসা কখনোই অস্বীকার করার মত নয়। তার মত কিংবদন্তির কারণে ফুটবল আরও এগিয়ে যাবে এবং আমাদেরকে আরও বিস্মিত করে তুলবে। দিয়েগো, তোমার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।’
সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে বিবেচিত ম্যারাডোনার নেতৃত্বে ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। টুর্নামেন্টে তার জাদুময় পারফরম্যান্স মন ভরিয়ে দিয়েছিল ফুটবল প্রেমীদের।
ক্লাব পর্যায়ে তিনি বার্সেলোনা অধ্যায় শেষে যোগ দেন নাপোলিতে। এখানেও নিজের একক নৈপুণ্যে ইতালিয়ান ক্লাবটিকে দু’টি লিগ শিরোপা জেতান ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল করেছেন তিনি। খেলেছেন ৪টি বিশ্বকাপে।
ম্যারাডোনার নেতৃত্বে ১৯৯০ সালের ইতালি বিশ্বকাপেও ফাইনালে খেলে আর্জেন্টিনা। তবে সেবার তারা হেরে যায় পশ্চিম জার্মানির কাছে। পরে ১৯৯৪ সালের যু্ক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় তাকে নিষিদ্ধ করা হয়।
বৈশাখী নিউজ/ জেপা