সূচকের পাশাপাশি কমেছে কোম্পানির শেয়ারের দাম
শেয়ার বিক্রির চাপের মধ্য দিয়ে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবারও দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে। এনিয়ে টানা তিন কার্যদিবস দরপতন হলো। আগের দুই কার্যদিবসের মতো মঙ্গলবারও দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৩৫ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৯৯ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দাম।
তাতে চলমান দরপতনে লেনদেন কমে অর্ধেকে নেমেছে। অর্থাৎ গত ২৫ জানুয়ারি ১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা লেনদেন হওয়া ডিএসইতে সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন হয়েছে মাত্র ৭০২ কোটি টাকা। লেনদেনের পাশাপাশি বিনিয়োগারীদের পুঁজি অর্থাৎ বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৩৮২ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। আর তাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। আরও দরপতন হতে পারে এমন আশঙ্কায় শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ডিএসই’র তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার মোট ৩৫৫টি সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯০টির, কমেছে ১৪৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় তিন সূচকে পথ চলা ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের (সোমবার) চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৫৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ১৬ পয়েন্ট কমেছে।
এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৭০২ কোটি ৯৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭১৮ কোটি ২২ লাখ ১৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ ধারাবাহিকভাবে লেনদেন কমছে।
ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বেক্সিমকো ফার্মা, রবি আজিয়াটা, লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্স, সামিট পাওয়ার, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, এনার্জিপ্যাক, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ওয়ালটন।
বৈশাখী নিউজ/ জেপা