চিত্রনায়িকা পরীমনির বিবাহিত জীবন

আপডেট: August 7, 2021 |
print news

সাংবাদিক তামিম হাসানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিন টাকার দেনমোহরে সিনেমার সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান রনিকে বিয়ে করেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। কিন্তু সে বিয়েও বেশি দিন টিকেনি।

২০১৭ সালে তামিম হাসান নামের এক সাংবাদিকের সঙ্গে পরীমনির প্রেমের সম্পর্কের কথা জানা যায়। তামিমকে নিয়ে প্রকাশ্যে বিভিন্ন দেশে ঘুরতেও গিয়েছেন পরী।

দুই বছর ধরে প্রেম করার পর ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল দুজনের বাগদান হয়। দুই পরিবারের আত্মীয়স্বজন ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ছিল অনুষ্ঠানটি।

বাগদান অনুষ্ঠানের পরদিন পরীমনি বলেন, সামনে যেকোনো ১৪ এপ্রিল তারা বিয়ে করবেন। কিন্তু কিছুদিন পর হঠাৎ করে পরীমনির ফেসবুক পেজ থেকে বাগদানের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়। পরে এ বিষয়ে খোলাসা করেন নায়িকা নিজেই। জানান, তামিমের সঙ্গে তার বাগদান ভেঙে গেছে।

এরপর ২০২০ সালের ৯ মার্চ রাতে অভিনেত্রী ও পরিচালক হৃদি হকের অফিসে কাজি ডেকে তার সহকারী কামরুজ্জামান রনিকে মাত্র তিন টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। কিন্তু সে বিয়েও ৫ মাসের মাথায় ভেঙে যায়।

এদিকে তামিমের সঙ্গে বাগদান ভেঙে গেলেও তার সম্পর্ক রেখেছিলেন পরীমনি। ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে সাবেক এই প্রেমিককে নিয়ে মদপান করতেন তিনি।

এর আগে ২০১৪ সালের দিকে তার সঙ্গে পরিচয় হয় কথিত প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের সঙ্গে। এরপর থেকে রাজের সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে সিনেমায় নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় পরীর। নজরুলের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। সেখানে প্রভাবশালীদের যাতায়াত ছিল।

২০১৬ সালের শুরুর দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় পরীমনির সঙ্গে দুজনের বিয়ের খবর। এমনকি বিয়ের ছবি, কাবিননামা ও তালাকনামার ছবিও প্রকাশ পায় ফেসবুকে।

২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি সকালে একটি ফেসবুক আইডি থেকে কিছু ছবি শেয়ার দিয়ে দাবি করা হয়, পরীমনি ইসমাইল নামের একজনের স্ত্রী। কিছুদিন পরেই ফেসবুকে পাওয়া যায় সৌরভ কবীর নামের আরও একজনের সঙ্গে তার বিয়ের কাবিননামা এবং কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি। ছবিতে অভিষেক হওয়ার ঠিক আগের দুই বছর অর্থাৎ নাটকে অভিনয় করার সময় সেতু নামের এক ফটোগ্রাফারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। তারা দুই বছর সংসারও করেছিলেন।

এছাড়া ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় পলাতক আসামি বিতর্কিত ব্যবসায়ী চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আজিজ তাকে বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার দেন বলেও জানা গেছে।

এছাড়া ছবিতে অভিনয় করা কালেই তার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের এক সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। দীর্ঘদিন পরী তার ছত্রছায়ায় ছিলেন। বিভিন্ন কারণে সেই সংসদ সদস্যের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। তবে এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কিছু শিল্পপতির সঙ্গে তার সখ্য গড়ে উঠে।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর