মেজর সিনহা হত্যাকান্ড, সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

আপডেট: August 25, 2021 |

 

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণসহ বিচারিক আদালতের কার্যক্রম গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। শেষদিকে ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী নিহতের সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাত তার সাক্ষ্য প্রদান শুরু করেন। আজ অবশিষ্ট সাক্ষ্য প্রদানের পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করবেন।

গতকাল মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ চলমান রেখে রাত ৮টায় আদালত তা মূলতবি করেন। আজ সকাল থেকে আবার সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ ও তার পর আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরা চলবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম।

মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ারকে আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত ও এএসআই লিটন মিয়ার পক্ষে তাদের আইনজীবীর জেরা শেষ করার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে দ্বিতীয় সাক্ষী সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন শুধু বাদী শারমিন শাহরিয়ারের সাক্ষ্যগ্রহণ ও ১২ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। পরে আদালতের কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম জানান, শারমিন শাহরিয়ারের অসমাপ্ত জেরা সম্পন্ন করে অপর পাঁচ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় সাক্ষী সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা সম্ভব হয় বলে সরকারি কৌশলী জানান। আজও (২৫ আগস্ট) সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।

এদিকে সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের গতকাল দ্বিতীয় দিন সকাল ১০টায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে আদালতে হাজির করা হয়।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব-১৫। হত্যাকাণ্ডের পর চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৮৩ জনকে সাক্ষী করে আলোচিত মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। চার্জশিটভুক্ত ১৫ জন আসামি কারাগারে আছেন। এর মধ্যে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলায় অভিযুক্ত ও কারাগারে আটক থাকা ১৫ আসামি হলেন- বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর