জামাতুল আনসারের ৫৩ জঙ্গির ৪৯ জন গ্রেপ্তার : ডিবিপ্রধান

আপডেট: May 14, 2024 |

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার মোট সদস্য ছিল ৫৩ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টানা অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্যরা এখনো পলাতক।

আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান ডিবিপ্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

সোমবার (১৩ মে) রাতে কল্যাণপুর ও গাবতলি থেকে নিষিদ্ধ এ জঙ্গি সংগঠনটির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য মিলেছে বলে জানান তিনি।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রানা শেখ আমির হোসাইন, মশিউর রহমান ওরফে মিলন তালুকদার ও হাবিবুর রহমান। তাদের কাছ থেকে ৩টি স্মার্টফোন ও ২টি বাটনফোন উদ্ধার করা হয়েছে, যাতে তাদের প্রশিক্ষণের ভিডিও এবং ছবি আছে।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন হিন্দাল শারক্বীয়া দলের বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের সমন্বয়ক এবং একজন নতুন সদস্য।

হারুন বলেন, যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা বম সম্প্রদায়ের কাছে প্রশিক্ষণও নিতো এবং ঢাকা থেকে টাকাও পাঠাতো। তাদের সদস্য ৫৩ জন ছিল। তার মধ্যে ৪৯ জনই ধরা পড়েছে। এরা আসলে একটু বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। তারা এখন নতুন করে কর্মী সংগ্রহ করছে।

তারা এই নতুন কর্মীরা বিভিন্ন ইসলামিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোয় চাকরি করে এবং টাকাও পাঠায়। অন্যদিকে কুকি চিনরা মনে করে তাদের আমরা কিছু সরবরাহও (প্রশিক্ষণ) করছি টাকা পাচ্ছি।

আমরা তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। তাদের সাথে আরও কেউ আছে কিনা জানার চেষ্টা করব। এ ছাড়া তারা নতুন করে কাকে কাকে নিয়োগ করেছে সেটাও জানাব।

ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা যাদের ধরেছি তাদের মধ্যে দুজন (মশিউর রহমান ও আমির হোসাইন) এখন হিন্দাল আল শারক্বীয়াকে লিড করছে। কর্মী সংগ্রহ তারাই করছিল।

হাবিবুর রহমানকে তারা নতুনভাবে নিয়োগও দিয়েছে। আপনারা যেসব প্রশ্ন করেছেন সেগুলোর প্রত্যেকটির উত্তর আমরা তাদের কাছে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে নেব।

তারা নতুন করে কাকে কাকে রিক্রুট করেছে এবং কে লিড করছে তাও আমরা জিজ্ঞাসা করব।

তবে সংবাদ সম্মেলনে হারুন দাবি করেন, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হজি), আনসার আল ইসলাম ও জামাযাতুল মুজাহিদিনের (জেএমবি) মুক্তিপ্রাপ্ত এবং পলাতক বেশ কিছু সদস্য মিলেমিশে একটি নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠীতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ গঠন করে।

কুকি চিনদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার। প্রচুর অর্থের বিনিময়ে তারা তাদের সদস্যদের অস্ত্রসহ যাবতীয় প্রশিক্ষণ দেয়।

জঙ্গি সংগঠন কুকি চিনের সদস্যদের কাছে পাহাড়ি বৈরী পরিবেশে কমান্ডো হিসেবে টিকে থাকা, পিটি-প্যারেড শিখা, আন আর্মড কমবাট, অ্যাসল্ট রাইফেল চালানো, বোমা সামগ্রী তৈরি এবং ব্যবহারসহ সিকিউবি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর