চালের উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী

আপডেট: September 1, 2021 |

২০৫০ সালে সম্ভাব্য ২০ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য চালের উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, দেশে একদিকে আবাদি জমি কমছে, বিপরীতে বাড়ছে জনসংখ্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি। এই ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে চালের উৎপাদনশীলতা বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি বাড়াতে হবে। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশে চালের উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ বৃদ্ধিকরণ-ডিআরপি’ শীর্ষক কৌশলপত্র উপস্থাপন ও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে এ কৌশলপত্র প্রণয়ন করে।

মন্ত্রী বলেন, ২০৫০ সালে মানুষের আয় আরও বাড়বে, ক্রয়ক্ষমতাও বাড়বে। খাবারের ভোগ ও চাহিদা বাড়বে। এ অবস্থায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। উন্নত ও নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পাশাপাশি ফলন ব্যবধান কমানোর মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য ধানের পুষ্টিমান উন্নয়ন ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের বিষয়েও জোর দেয়া হচ্ছে।

উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করতে ব্রি প্রণীত ডিআরপি কৌশলপত্রটি গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক আরও বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত সুন্দর, কাঠামোগত ও সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।

ডিআরপির মতো এ রকম কৌশলপত্র প্রণয়ন করতে আগে বিদেশি বিশেষজ্ঞ বা বিদেশি সংস্থার সহযোগিতা লাগতো। এতে ব্যয়ও হতো অনেক। অথচ এটি আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছে যা একটি বড় সাফল্য।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ডিআরপিতে চালের উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ বৃদ্ধির যে পরিকল্পনা করা হয়েছে- তা স্বপ্ন নয় বরং অর্জনযোগ্য ও বাস্তবসম্মত। দেশের অস্থিত্বের জন্য, মানুষের জন্য এটি অপরিহার্য। উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে ছিলেন বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ ও ইরির বাংলাদেশ প্রতিনিধ ড. হোমনাথ ভান্ডারি।

এছাড়া, বিশেষ অতিথি এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনানো হয়। এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্যান্য সংস্থাপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭১-৭২ সালে হেক্টরপ্রতি চালের গড় উৎপাদন ছিল ১ টনের কিছু বেশি। বর্তমানে হেক্টরপ্রতি চালের উৎপাদন গড়ে ৪ (চার) টনেরও বেশি।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর