৯ গোলের ম্যাচে ম্যানসিটির জয়
ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গোল হলো একের পর এক। হলো আত্মঘাতী গোলও। ম্যানচেস্টার সিটি পুরোটা সময় এগিয়ে রইল বটে, তবে ক্রিস্টোফার এনকুকুর হ্যাটট্রিকে লড়াইয়ে ছিল লাইপজিগও।
অবশেষে শেষ ১৫ মিনিটে আরও দুবার জালে বল পাঠিয়ে বড় জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু করল পেপ গার্দিওলার দল।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে গোল উৎসবের ম্যাচটি ৬-৩ ব্যবধানে জিতেছে সিটি।
প্রথমার্ধে আক্রমণে আধিপত্য করা সিটি দারুণ ফিনিশিংয়ে বিরতির আগেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ১৬ মিনিটেই জালের দেখা পায় ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা।
গ্রিলিশের কর্নারে বলের প্রতি নজর রেখে ছুটে গিয়ে প্রতিপক্ষের দুজনকে কোনো সুযোগ না দিয়ে হেডে গোলটি করেন ডাচ ডিফেন্ডার আকে। ২৮তম মিনিটে সফরকারীদের মিকিয়েলের অমার্জনীয় ভুলে ব্যবধান বাড়ে। কেভিন ডে ব্রুইনের ডান দিক থেকে গোলমুখে বাড়ানো ক্রসে কোনো হুমকি ছিল না। কিন্তু নিচু হয়ে হেডে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল পাঠান ফরাসি এই ডিফেন্ডার।
৪২তম মিনিটে একটি গোল শোধ করে লড়াইয়ে ফেরার আভাস দেয় লাইপজিগ। সতীর্থের ছোট্ট করে বাড়ানো হেডে এনকুকু হেডেই বল জালে জড়ান। যদিও তাদের সে স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান আবারও বাড়ান মাহরেজ। ফেররান তরেসের হেড ডি-বক্সে লাইপজিগের একজনের হাতে লাগলে পেনাল্টিটি পায় সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে আবারও ব্যবধান কমায় লাইপজিগ। দানি ওলমোর ক্রসে এবারও হেডেই স্কোরলাইন ৩-২ করেন ফরাসি মিডফিল্ডার এনকুকু। এবারও পাঁচ মিনিট পরই আবারও দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় সিটি।
৭৩তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ধরে কোনাকুনি শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এনকুকু। লাইপজিগের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। আর এই প্রতিযোগিতায় ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে করলেন মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে।
তিন মিনিট পরই জোয়াও কানসেলো স্কোরলাইন ৫-৩ করেন। আর ৮৫তম মিনিটে কাছ থেকে জোরালো শটে লাইপজিগের জালে শেষ বল পাঠান খানিক আগেই বদলি নামা জেসুস।
গ্রুপের আরেক ম্যাচে পিএসজিকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুজ।