সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পীরগঞ্জে হামলা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী

আপডেট: October 18, 2021 |

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেশকে অস্থিতিশীল করা ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে হামলার জন্য পীরগঞ্জকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে শেখ রাসেল দিবসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ চলচ্চিত্রের টিজার প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

কুমিল্লা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সনাতন সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হচ্ছে- এ নিয়ে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে।

কুমিল্লায় যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার করা হয়েছে। এটি দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যারা দেশে এই ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটায়, বিএনপি-জামায়াতসহ ধর্মান্ধ গোষ্ঠী, তারা বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার সময় বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে এবং সব শেষে দুর্গাপূজাকে উপলক্ষ করে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা চালিয়েছে ও করেছে।

এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেশকে অস্থিতিশীল করতে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য করা হয়েছে। এটি খুবই স্পষ্ট। সরকার কিন্তু এগুলো কঠোর হস্তে দমন করেছে।’

ড. হাছান মাহমুদ, যারা কিছু দেখেন না তাদের অনুরোধ জানাবো সরকার কী কী করে তা খেয়াল করুন।

চট্টগ্রামে শুধু ঢিল ছুড়েছে, একটি ব্যানার ছিঁড়েছে সেজন্য এরই মধ্যে একশ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কয়েকশ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কুমিল্লায়ও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাঁদপুর-নোয়াখালীতেও অনেককে গ্রেফতার ও মামলা হয়েছে।

তিনি বলেন, যারা এটি করেছে তাদের সারাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল। সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।

পীরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর আসনে এ ধরনের ঘটনা দলীয়ভাবে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, পীরগঞ্জকে বেছে নেওয়া খুবই স্বাভাবিক। কারণ তারা এমন একটি জায়গা বেছে নিয়েছে যাতে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়।

সেই উদ্দেশ্য নিয়েই পীরগঞ্জে এই ঘটনা। যখন ঘুট ঘুটে অন্ধকার তখন কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হলো। এটি খুবই স্পষ্ট, পীরগঞ্জকে বেছে নেওয়া হয়েছে যাতে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে।

তিনি বলেন, চাঁদপুরে যারা এই বিশৃঙ্খলা করেছে তাদের নিবৃত্ত করতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। আমাদের এই পদক্ষেপ ভারতের অনেক পত্র-পত্রিকায় প্রশংসা করেছে। সরকার নিজ অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব করছে।

আমি আজ আপনাদের মাধ্যমে দেশের সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও অসাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতি অনুরোধ জানাই, দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দলের সব নেতাকর্মীকে এরই মধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে। আরও বহু জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটানোর জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু দলের নেতাকর্মীরা পাশে থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কিন্তু আরও ঘটানোর পরিকল্পনা আছে।

বৈশাখী নিউজ/  জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর