জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে আট উইকেটে জয় পেল বাংলাদেশ

আপডেট: May 4, 2024 |

চট্টগ্রামে শুক্রবার (০৩ মে, ২০২৪) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১২৪ রানে থামে জিম্বাবুয়ে। তাড়া করতে নেমে ২৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে শেষ হাসি হাসে বাংলাদেশ।

তানজীদ হাসান তামিম অভিষেক ম্যাচে পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ১৭ বছর আগে জুনায়েদ সিদ্দিকীর করা অভিষেক ফিফটির পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে এমন কীর্তি করেন তানজীদ। ৪৭ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। জয় এনে দেন দারুণ চারের মারে।

 

শুরুতে তার সঙ্গী লিটন দাস ১ রানে ফিরেন। তানজীদের সঙ্গী হন এবার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনে যখন স্বাচ্ছন্দ্যে এগোনোর বার্তা দিচ্ছিলেন তখনই আসে বৃষ্টি। তৃতীয় ওভার শেষে বৃষ্টির বাধার পর আবার খেলা শুরু হয়। এবার ৭.২ ওভার পর আবার বৃষ্টি নামে।

দ্বিতীয়বার বৃষ্টির বাধার পর শুরু হয় বৃষ্টি আইনের হিসেব-নিকেশ। এতে অবশ্য বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল। এবার মাঠে ফিরেই শান্ত আউট হন ছক্কা মারতে গিয়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ২১ রান।

 

তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে তানজীদ নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন ৩৬ বলে। দুজনে আর কোনো উইকেট দেননি জিম্বাবুয়ে বোলারদের। ৩৬ বলে ৬৯ রান আসে এই জুটি থেকে। তাওহীদ ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে একটি করে উইকেট নেন মুজারাবানি-জংওয়ে।

ইনিংসের শুরুতে ক্রেইগ আরভিনকে দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড করে মাহেদী হাসান এনে দেন প্রথম সাফল্য। আরভিন ফিরলে রানের গতি যেন আরও বাড়ে। বেনেটকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে থাকনে জয়লর্ড গাম্বি। দুজনে ২৮ রানের জুটি গড়েন। শরিফুলকে টানা তিন চার মারেন বেনেট। ১৪ বলে ১৭ রান করা গাম্বিকে ফেরান সাইফউদ্দিন নিজের প্রথম ওভারে। তার আউটের পর শুরু হয় উইকেটের মিছিল। ১৬ রানে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেট। দলীয় ৩৬ রান থেকে ৩৮ রানের মধ্যে দলটি হারায় পাঁচ-পাঁচটি উইকেট।

হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন তাসকিন। শূন্যরানে পরপর ফেরান শেন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে। সাইফউদ্দিনের শিকার হন লুক জংওয়ের ফেরার পর প্রতিরোধ গড়েন মাদান্তে-মাসাকাদজা।

 

অষ্টম উইকেটে মাদান্তে-মাসাকাদজার ৭৫ রানের জুটিতে এই রান করতে পারে সফরকারী দলটি। ৪১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর দুজনে জুটি গড়েন। সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে মাদান্তের ব্যাট থেকে। ৩৯ বলে ৬টি চারের মারে এই রান করেন তিনি। ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হন মাসাকাদজা। তিনি ৩৮ বলে ৩৪ রান করেন। তার ইনিংসে দুটি করে ছয়-চারের মার রয়েছে। এ ছাড়া বিশের বেশি কোনো ব্যাটার রান করতে পারেননি।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন তাসকিন-সাইফউদ্দিন। দুজনেই কৃপণ বোলিং করেন। তাসকিন ১৪ ও সাইফউদ্দিন ১৫ রান দেন। মাহেদী হাসান নেন ২ উইকেট। উইকেটশূন্য ছিলেন শরিফুল-রিশাদ হোসেন।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর