হোয়াইট হাউস ইউক্রেনকে ৬.৪ বিলিয়ন ডলার দিতে চায়

গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপর ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। দিনভর তিন দিক থেকে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে তারা। এতে ইউক্রেনের ১৩৭ সেনা নিহত হয়েছেন।
রাজধানীর কিয়েভের কাছে হোস্টোমেল বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের চলমান সংকট মোকাবিলায় দেশটিকে ৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট দপ্তর হোয়াইট হাউস।
এর মাঝে নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তায় খরচ করা হবে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। বাকি সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার প্রতিরক্ষা বিভাগের জন্য খরচ করা হবে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য কংগ্রেসে পাঠানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে এ সাহায্য কীভাবে করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাটো জানিয়েছে তারা সরাসরি এই যুদ্ধে জড়াবে না।
এদিকে রুশ সেনাদের হামলা শুরুর পর ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ে ইউক্রেনের ৫০ হাজারের বেশি মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, পালিয়ে যাওয়াদের অধিকাংশই পার্শ্ববর্তী পোল্যান্ড এবং মলদোভায় আশ্রয় নিয়েছেন।
এর আগে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক বার্তায় জানিয়েছিল, ইউক্রেনের অন্তত ১ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।