রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিপাকে স্প্যানিশরা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি জীবনযাত্রার ব্যয়ে ধাক্কা খেয়েছে স্প্যানিশরাও। জানা গেছে, মার্চে স্পেনের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৩৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে।
এসময় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে নয় দশমিক ৮ শতাংশে। বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম বাড়ায় দেশটির ওপর এ প্রভাব পড়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার (৩০ মার্চ) এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্পেনের পরিসংখ্যান বিভাগ জানায়, ১৯৮৫ সালের মে মাসের পর মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ হয়েছে। তাছাড়া ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল সাত দশমিক ছয় শতাংশ। বিভাগটি জানায়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাদ্য ও অ্যালকোহল মুক্ত পানীয়তে দাম বাড়ায় সর্বত্র মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সঙ্গে দেশটিতে বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়ে যায়। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর এর তীব্রতা আরও বাড়ে। অন্য ১৯টি দেশের মতো স্পেনও ইউরো মুদ্রা ব্যবহার করে। অন্যদিকে একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় সাত দশমিক নয় শতাংশে। যা ১৯৮২ সালের পর সর্বোচ্চ ছিল।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বুধবার সংসদে বলেন, ৭৩ শতাংশ মূল্য বাড়ার কারণ হলো জ্বালানি ও কৃষি পণ্যের সরবরাহ সংকট। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধের ফলেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত চলছেই। এদিকে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) শান্তি আলোচনার জন্য তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সরাসরি বৈঠকে বসেন ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে শুরু হওয়া বৈঠকে বক্তব্য দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে দেশটির সাধারণ নাগরিকরা, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা। মস্কোর ধারাবাহিক হামলায় এখনো ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে ইউক্রেনবাসী। তাদের প্রধান গন্তব্য ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে। জানা গেছে, এরই মধ্যে ৪০ লাখের বেশি ইউক্রেনীয় বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে।