২০২৭ সালে টেস্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাবে বাংলাদেশ

আপডেট: April 17, 2022 |

১৯ বছর আগে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সবশেষ টেস্ট খেলেছিল। পরে ২০০৮ সালে অজিরা কেবল তিন ওয়ানডের জন্য বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দিয়েছিল। এরপর কখনোই বাংলাদেশকে খেলতে ডাকেনি অস্ট্রেলিয়া।

ইংল্যান্ডে বাংলাদেশ একাধিকবার টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলতে গেলেও ২০১০ সালের পর ডাক পড়েনি। ২০২৩ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত মোট পাঁচ বছরের নতুন এফটিপি তৈরি করছে আইসিসি। নতুন এই এফটিপিতে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ।

ইংল্যান্ডের সঙ্গে এখনও কথা চালাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে অস্ট্রেলিয়া সফর প্রায় চূড়ান্ত হয়েই আছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৭ সালে দুই টেস্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাবে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়া দুই টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ আসবে। নিশ্চিত করেছেন বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

সোমবার মিরপুরে তিনি বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের সঙ্গে এখনো কথা হচ্ছে। নিশ্চিত হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি ইংল্যান্ডে গিয়ে একটা সিরিজ খেলতে। আমরা আশা করছি ওদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাব। ২০২৭ সালে দুটি টেস্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাবে বাংলাদেশ। পরিকল্পনা আছে। এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ২০২৬ সালে ওরা আসবে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান সফর করার পরিকল্পনা বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তো আছেই। কিছু কিছু সিরিজ মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে, পরে আপনারা জানতে পারবেন।’

২০১৮ সালের সবশেষ এফটিতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো টেস্ট পায়নি বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২ টেস্ট থাকলেও ফিরতি সফর ছিল না। সেই সফরও অস্ট্রেলিয়া স্থগিত করে। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ চাইলেই খেলা যায় না। আয়োজক দেশগুলোর বাণিজ্যিক দিক বিবেচনা করে দেশগুলো প্রতিপক্ষকে আতিথেয়তা দেয়। তবে এসব ক্ষেত্রে দুই বোর্ডের সম্পর্কও বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।

জালাল ইউনুস বলেছেন,‘আমরা সব সময় চাই পূর্ণাঙ্গ সিরিজ হোক। আমরা চেষ্টা করি। কিন্তু আমাদের চাওয়ামতো অনেক কিছু মেলে না। দেখা যায়, আমরা আলাপ করলে ওরা একটা বা দুইটা ফরম্যাটের কথা বলে। সেটা আমাদের মেনে নিতে হয়। দেখা যাক আমরা আলোচনা করে আরো কিছু খেলা বাড়িয়ে নিতে পারি কি না। এটা নির্ভর করে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর। অনেক সময় দেখা যায় তাদের যেসব সূচি থাকে, আমি অস্ট্রেলিয়ার কথা বলছি… দেখা যায় অ্যাশেজ থাকলে তারা লম্বা সময়ের জন্য ওটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাই অন্য সিরিজ সংক্ষিপ্ত করে ফেলে। তখন একটা বা দুইটা ফরম্যাটে খেলার সুযোগ পাই।’

তবে বাংলাদেশের জন্য সুখবরও আছে। সামনের এফটিপিতে আগের থেকে ম্যাচ বেড়েছে বাংলাদেশের, ‘আলাপ আলোচনা করে যেগুলো চূড়ান্ত করেছি এরমধ্যে ৪০টির বেশি টেস্ট, ৭০ এর বেশি ওয়ানডে ও ৭৬টিরও বেশি আছে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। হতে পারে এখান থেকে কিছু বদল হতে পারে। এগুলো আইসিসি ও মহাদেশীয় ইভেন্টের বাইরে। এরপর তো আইসিসি ইভেন্ট আছেই। এরমধ্যে ত্রিদেশীয় সিরিজও খেলতে পারি।’

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর