বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে স্বর্ণ কারিগরকে কোপানোর অভিযোগ

আপডেট: May 5, 2024 |

ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক স্বর্ণ কারিগরকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত এক ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে।

বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতার নাম শুভ্রদেব সিং ওরফে সুদেব। সে পৌরসদরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঋষিপাড়ার সুধির সিংয়ের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।

উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে ২০২৩ সালের ২৬শে মার্চ কোমরে পিস্তল রেখে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে জনমনে ভয়ভীতি ছড়ানোর অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ্রদেব সিং।

সে সময় আলোচিত এই ছাত্রলীগ নেতাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়।

আহত স্বর্ণ কারিগরের নাম হ্নদয় কর্মকার। সে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আঁধারকোঠার ব্রজেন কর্মকারের ছেলে।

জানা যায়, হৃদয় কর্মকার বোয়ালমারী পৌর বাজারের বৌরাণী জুয়েলার্সে কারিগর হিসেবে কাজ করেন।

শনিবার (৪ মে) দুপর আড়াইটার দিকে পৌর সদরে কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন বড় পুকুর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ব্যাটারী চালিত ভ্যানে করে বাড়ি যাচ্ছিলেন হৃদয় কর্মকার।

এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ্রদেব সিং সুদেব তার পথরোধ করে ভ্যান থেকে নামিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা মারাত্মক আহত হৃদয় কর্মকারকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

হৃদয়ের শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে, কাঁধের নিচে বামবাহু, পাজর ও পায়ের রানের আঘাত গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়াও পেট ও হাতের কব্জিতে আঘাতহ্ন রয়েছে।

এর মধ্যে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হৃদয়ের কাঁধের নিচে ও বাম হাতের কব্জিতে রগ কেটে যাবার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

হৃদয় কর্মকার বলেন, দুপুরে খাবার খেতে বাড়ি যাচ্ছিলাম। এসময় সুদেব সিং আমাকে ভ্যান থেকে নামিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। তার সাথে আমার আগে পরে কোনো ঝামেলা ছিলো না।

তিনি আরও বলেন, আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিতে হয়তো সে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।

অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুদেব সিংয়ের সাথে তার মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মুঠোফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইমরান হোসেন বলেন, তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শরীরের বেশ কয়েকটি স্থানে গভীর ক্ষত হয়েছে।

তার হাতের দুটি রগ কেটে গেছে সে কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর