করোনায় দৈনিক মৃত্যু হাজারের নিচে, শনাক্ত ৩ লাখ

আপডেট: May 9, 2022 |

বিশ্বজুড়ে দৈনিক করোনায় আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু এবং শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুটোই কমেছে। একদিনে সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজারেরও কম মানুষ। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় তিন লাখ মানুষ।

গত একদিনে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৩৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় সাড়ে ৪শ। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৪ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ২ হাজার ৫৪৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ১ লাখেরও বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ কোটি ৭২ লাখ ৬ হাজার ৮৩৫ জনে।

এদিকে গত একদিনে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনায় সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৬৪ জন এবং মারা গেছেন ৭১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৫ লাখ ৪৪ হাজার ৩৯৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২৩ হাজার ৩৬০ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১৮ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৪৪৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮২ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৯৪৬ জনের।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮ জন এবং মারা গেছেন ২১ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৩৫ লাখ ৮১ হাজার ৭১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৬ জন মারা গেছেন।

জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৩৬১ জন এবং মারা গেছেন ১১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৫ জন মারা গেছেন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৮১ জন এবং মারা গেছেন ৫৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৩২৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৪ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৮৯ লাখ ৫৭ হাজার ৪২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭২৪ জন মারা গেছেন। গত একদিনে অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬১৭ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন।

ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৮০৪ জন এবং মারা গেছেন ৭২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬৭ লাখ ৯৮ হাজার ৯৯৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৪ হাজার ৪৮৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৯৬ জন এবং মারা গেছেন ২৪ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৬ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ১৮৯ জনের।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৭১৪ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩১ লাখ ৫ হাজার ২২২ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২৪ হাজার ৬৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ২৮৯ জন এবং মারা গেছেন ১৮ জন। একই সময়ে কানাডায় নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৩৮ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন। গ্রিসে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৯৫ জন এবং মারা গেছেন ২৩ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এদিকে ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর