বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই ৫ ভ্যাকসিন

আপডেট: May 24, 2022 |

শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়দের তুলনায় খুবই কম হওয়ায় তারা প্রায়ই কোনও না কোনও রোগে ভুগতে থাকে। তাই রোগ থেকে বাচ্চাদের বাঁচানোর জন্য চলে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। ভ্যাকসিনেশন আপনার বাচ্চাকে নানান ভয়ঙ্কর রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও শক্তিশালী করে।

এমন পাঁচটি ভ্যাকসিন রয়েছে যেগুলো শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে পারে।

চলুন জানা যাক…

> চিকেন পক্স থেকে শিশুকে রক্ষা করতে হলে তাকে সময়মতো টিকা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এই রোগ থেকে বাঁচতে দু’টি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, ১২-১৫ মাস বয়সের মধ্যে প্রথম ডোজ এবং পরবর্তী ডোজ ৪-৬ বছরের মধ্যে। এই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই হালকা এবং অস্থায়ী হয়। শিশুদের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে প্রচলিত রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম চিকেন পক্স। এই রোগ গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে এবং ইমিউনিটি একেবারে কমিয়ে দিতে পারে। ভেরিসেলা-জোস্টার ভাইরাস (VZV) দ্বারা সৃষ্ট এই রোগ অত্যন্ত সংক্রামক।

> বাচ্চাদের মধ্যে হওয়া আরেকটি সাধারণ রোগ হাম। খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ এবং সারা শরীরে র‍্যাশ ভরে যায়, দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাই, ১২-১৫ মাস এবং ৪-৬ বছর বয়সের মধ্যে কমপক্ষে MMR টিকার দু’টি শট নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই ভাইরাল রোগটি মরবিলিভাইরাস নামক এক ধরনের ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। হামের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিকেনপক্সের মতোই হালকা। তবে কিছু ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও হতে পারে। এছাড়া এই টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ।

> ফ্লু খুবই সাধারণ সমস্যা হলেও, বাচ্চাদের জন্য এই সাধারণ ফ্লু-ও খুব বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল হয়। এই রোগ রোধ করতে ছয় মাস পরে একটি বার্ষিক টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ফ্লু-এর ভাইরাস ফুসফুস, নাক এবং গলাকে আক্রমণ করে। ক্রনিক রোগে আক্রান্ত শিশুরা ঘন ঘন ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়, বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সী বাচ্চারা।

> টাইফয়েড ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ, যা দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়। এই সংক্রমণ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সংক্রমিত করে। তাই বাচ্চার জন্মের পরপরই টিকা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। TCV এর প্রথম ডোজ ৯-১২ মাস বয়সে দেওয়া হয়।

> এটি অত্যন্ত গুরুতর রোগ, যা মূলত স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে। টিটেনাস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগ, যা আমাদের শরীরে টক্সিন উৎপাদন করে। শিশুরা প্রায়ই খেলাধূলার সময় আঘাত পায়, আর ব্যাকটেরিয়া খোলা ক্ষতের মাধ্যমে খুব সহজেই তাঁদের শরীরে প্রবেশ করে। তাই, ২-১২ বছর বয়সের মধ্যে DTaP-এর পাঁচটি ডোজ এবং Tdap-এর একটি বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর