কখনও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি চমেক

আপডেট: June 5, 2022 |
print news

কখনও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক)। সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে শনিবার রাতে লাগা আগুনে দগ্ধ ও আহত ৪ শতাধিক মানুষের বেশিরভাগকেই নেয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেলে।

দুর্ঘটনার পরপরই হাসপাতালে আসতে থাকে দগ্ধ ও আহত রোগীরা। তাদের আর্তনাদে ভারি হয়ে ওঠে চট্টগ্রাম মেডিকেলের পরিবেশ। কিছুক্ষণ পরপর নতুন নতুন রোগী নিয়ে আসতে থাকে উদ্ধারকারীরা। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ভিড় বাড়তে শুরু করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে। আগুনে কারও শরীর পুড়েছে, কেউবা গুরুতর আহত। বাদ যাননি উদ্ধারকারীরাও। যেন এক মৃত্যুপুরী।

খবর পেয়ে হাসপাতালে ভিড় করেন হতাহতদের স্বজনরা। চারপাশে তখন শুধুই আর্তনাদ আর ছুটোছুটি। সবাই খুঁজে ফিরছেন প্রিয়জনকে। ৪ শতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। গুরুতর আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেলের পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল ও সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে।

একসাথে এতো রোগীর চাপ সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসক-নার্স ও তাদের সহকারীদের। এরইমধ্যে জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার ও নার্সদের ছুটি বাতিল করে তাদের কাজে যোগ দিতে বলেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের পাশাপাশি কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবীরাও। গুরুতর দগ্ধদের জন্য জরুরি রক্তের আহ্বান জানানো হয়েছে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৪ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এ কনটেইনার ডিপো। মূলত এখান থেকে বিভিন্ন রপ্তানি পণ্য বিদেশে পাঠানো হয়। ডিপোটিতে ৫০ হাজারের বেশি কনটেইনার মজুত ছিল। এসব কনটেইনারে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস পণ্য রয়েছে। এখানে কর্তরত বেশিরভাগ লোকই চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাসিন্দা।

বৈশাখী নিউজ/ ফাজা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর