প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চা–বাগান মালিকদের সভা বিকেলে

আপডেট: August 27, 2022 |

মজুরি ইস্যুতে ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলন করছে চা বাগানের শ্রমিকরা। শ্রমিক নেতারা কথা বলে এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারাও নানা আশ্বাস দিয়েও চা–শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে পারেননি।

সৃষ্ট সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার চা–বাগানের মালিকদের সঙ্গে সভা করবেন। বিকেল চারটায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি ও পরে ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছেন চা-শ্রমিকরা। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও সেটা মানছেন না সাধারণ শ্রমিকেরা। বাগানে বাগানে ঘুরে শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাব্যক্তিরা।

চা-শ্রমিকদের আন্দোলনের মাঝে চা বাগান মালিকেরা ২৫ টাকা মজুরি বাড়িয়ে ১৪৫ টাকার প্রস্তাব করলেও তারা কাজে ফেরেনি। তাদের দাবি ৩০০ টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার বিকেল চারটায় প্রধানমন্ত্রী গণ ভবনে চা–বাগানের মালিকদের সঙ্গে সভা করবেন।

এদিকে ধর্মঘটের দুই সপ্তাহ পরেও ‘চায়ের রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সব চা-বাগানে কাজ বন্ধ রয়েছে।

শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে চা বাগান মালিকদের বৈঠকের পর শ্রমিকদের কর্মবিরতি শেষ হতে পারে বলে অনেকেই আশাবাদী।

শুক্রবার বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান এম শাহ আলম বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছি। আমরা সেখানে যাব। তার আগে এ বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নেব।’

তবে গতকাল পর্যন্ত শ্রমিক পক্ষকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। যোগাযোগ করা হলে আন্দোলনরত শ্রমিকদের নেতা সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা গতরাতে বলেন, ‘আমরা এখনও কোনো আমন্ত্রণ পাইনি। তবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি আমরা। সেই সঙ্গে আশা করছি, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে শ্রমিকরা তাঁদের ন্যায্য সমাধান পাবেন।’

দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করার দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার ২৪১টি চা বাগানের শ্রমিকরা। প্রথমে ৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। এর পর ১৩ আগস্ট থেকে চা শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছেন।

স্থানীয়ভাবে সমঝোতায় শ্রমিকদের কাজে ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। পরে সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও বৈঠক হয় কয়েক দফা। কিন্তু তাতেও কোনো সুরাহা হয়নি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর