‘এফআরসিএস’ ডিগ্রীর সনদপত্র পেলেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য

আপডেট: September 8, 2022 |

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স ও সার্জন্স অফ গ্লাসগো থেকে এফ.আর.সি.এস ডিগ্রীর সনদপত্র গ্রহণ করেছেন।

বাংলাদেশ সময় বুধবার রাতে (৭ সেপ্টেম্বর ) অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদকে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স ও সার্জন্স অফ গ্লাসগো’র সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সনদ পত্র প্রদান করে কর্র্তৃপক্ষ।

গত বছর ২৬ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স ও সার্জন্স অফ গ্লাসগো থেকে এফ.আর.সি.এস ডিগ্রী অর্জন করেন অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ।

তাঁর চক্ষু রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। পাশাপাশি অন্ধত্ব দূরীকরণ এবং চক্ষু রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনা সৃষ্টিতে তাঁর বিরাট ভূমিকা রয়েছে। চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি তিনি একজন দক্ষ সংগঠক ও সুদক্ষ প্রশাসক।

চোখের রোগসমূহের চিকিৎসা, প্রতিরোধসহ কমিউনিটি অফথালমোলজিতে অসামান্য অবদান রাখা অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ গত ২৯ মার্চ ২০২১ইং তারিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর মহাসচিব হিসেবে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), প্রিভেনটিভ এন্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন, কমিউিনিটি অফথালমোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক কাউন্সিলের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ এর ইসি সদস্য। এ ছাড়াও অফথালমোলজীক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর পরপর তিনবার নির্বাচিত সভাপতি। চলতি বছর ১৩ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদকে সিনেট সদস্য মনোনিত করে।

অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এর ১০০ টি’র মত বিএমডিসি স্বীকৃত জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক প্রকাশনা রয়েছে। বাংলায় চক্ষু বিষয়ক ৩টি ও ইংরেজীতে ২টি বই রয়েছে। তিনি গ্রামেগঞ্জে কমিউনিটি চক্ষু শিবিরে প্রায় ১ লক্ষ চোখের অপারেশন করেছেন। তিনি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার একজন স্বনামধন্য কলামিষ্ট। পাশাপাশি তিনি চক্ষু বিষয়ক বিভিন্ন টিভি ও রেডিও টকশোর আলোচনায় অংশগ্রহণ করে থাকেন। পেশাগত বিভিন্ন সংস্থার সাংগঠনিক ও একাডেমিক কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্মাননার মধ্যে রয়েছে বিশিষ্ট পরিসেবা পুরস্কার (২৭তম এপিএও কংগ্রেসে উপস্থাপিত, বুশান ২০১২), অন্ধত্ব প্রতিরোধ সম্মাননা (এপিএও এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমি অফ অফথালমোলজী ২০১৬), নেপালের পোখারেল ভেস্কটস্বামী পাড়া রাজাসাগরাম (পিভিপি), কমিউনিটি চক্ষুবিদ্যায় অসাধারণ কাজের জন্য পুরস্কার (এসএও) ২০১৮, স্বর্ণ পুরস্কার সিসিসি কলকাতা ২০১৯, এআইওসি অ্যাওয়ার্ড গুরুগ্রাম ২০২০ উল্লেখযোগ্য। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বড় দুই ভাই মুক্তিযোদ্ধার সাথে তিনিও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর