নলকূপ অপারেটরের দৌরাত্ম্যে স্কীমের কৃষকরা অতিষ্ঠ

আপডেট: January 22, 2023 |

আলিফ হোসেন তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) ইলামদহী মাঠে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) একটি গভীর নলকূপ অপারেটরের দৌরাত্ম্যে স্কীমের কৃষকরা  অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

স্কীমের কৃষকদের সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকুপ পরিচালনার নির্দেশনা দেয়া হলেও অপারেটর তা মানছে না।

এসব কারণে অপারেটরের অপসারণ, স্কীমভুক্ত  কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে নতুন অপারেটর নিয়োগ ও সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকুপ পরিচালনার দাবিতে কৃষকের ডাকযোগে বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ও নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ইতিপুর্বে  কৃষকগণের মতামতের ভিত্তিতে অপারেটর নিয়োগ ও সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকুপ পরিচালনার সুপারিশ করা হলেও অপারেটর তা মানছেন না। এ ঘটনায় স্কীমের কৃষকদের মাঝে চরম অসন্তোষ ও ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) জেল নম্বর ৯৩ ইলামদহী মৌজায়, ২১৫ নম্বর দাগে অবস্থিত গভীর নলকুপের অপারেটর দুরুল ইসলাম।

কৃষকদের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যানের  দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে তিনি সেচ চার্জ আদায়ের নামে ও ড্রেন মেরামত, লাইনম্যান ভাতা, ট্রান্সফরমার মেরামত, ভোল্টেজ বাড়ানো, নৈশপ্রহরী ভাতা, অফিস খরচ ইত্যাদি অজুহাতে কৃষকদের কাছে থেকে জোরপুর্বক টাকা আদায় করছেন। না দিলে জমিতে নিয়মিত সেচ দেন না।

এছাড়াও তিনি গভীর নলকূপের আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব কাউকে দেন না বলে কৃষকরা অভিযোগ করেছেন।

স্থানীয় কৃষক রাশেদুল (৩৫), আবুল (৩০) ও সাদেকুল (৪০) অভিযোগ করে বলেন,  সময় মতো সাধারণ কৃষকের ফসলের জমিতে সেচ দেয়া হয় না।

অনেকক্ষেত্রে তিনি জোরপূর্বক কৃষকের জমি ভ্রম্যমাণ আলু চাষিদের কাছে ইজারা দিতে বাধ্য করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপারেটর দুরুলের এক ঘনিষ্ঠ সহচর বলেন, অপারেটর হতে তার প্রায় দুলাখ টাকা খরচ হয়েছে। এসব টাকা উসুল করতে তিনি প্রতিবিঘা আলুচাষে সাড়ে তিন হাজার টাকা করে সেচ চার্জ আদায় করছেন।

কেউ প্রতিবাদ করলে তার জমিতে সেচ দেয়া হয় না। এবিষয়ে জানতে চাইলে অপারেটর দুরুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি মহল তার কাছে অবৈধ সুবিধা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ উঙ্খাপন করেছে।

তিনি বলেন, তার গভীর নলকুপ রি-বোরিং করা হয়েছে, তাই বোরিং খরচসহ প্রতিবিঘায় সেচ চার্জ নেয়া হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ টাকা করে।

এবিষয়ে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মাহাফুজুর রহমান বলেন, উপজেলা সেচ কমিটির নির্ধারিত সেচ চার্জের অতিরিক্ত টাকা নেয়া যাবে না।

তিনি বলেন সুনিদ্রিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর