পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ চেয়ে ১৫২ এমপির সুপারিশ
পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধসহ বেশ কিছু তামাক আইনের সংশোধন চেয়ে সুপারিশ করেছে ১৫২ জন সংসদ সদস্য ।
‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধি দল আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং’-এর সাচিবিক সংস্থা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম মন্ত্রিপরিষদ সচিব কার্যালয়ে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া প্রস্তাবনা দ্রুত পাশের উদ্যোগ গ্রহণে ১৫২ জন সংসদ সদস্যের সুপারিশসমূহ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে তুলে ধরেন।
জানা গেছে, সংসদ সদস্যদের এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করা, বিক্রয়স্থলে তামাক দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, খুচরা বিক্রি বন্ধ করা, সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কতার উপর জোর দেওয়া এবং ই-সিগারেট এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস (এইচটিপি) নিষিদ্ধ করা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন তামাক আইন সংশোধনের ব্যাপারে সংসদ সদস্যদের সুপারিশপত্র গ্রহণ করেন এবং ধন্যবাদ জানান।
এ সময় তিনি ১৫২ জন সংসদ সদস্যের সুপারিশসমূহ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত সচিবকে বিষয়টি দেখার নির্দেশনা প্রদান করেন।
এর আগে, ২০২২ সালের মে মাসে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরামের উদ্যোগে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত ‘অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন’ শীর্ষক সংসদ সদস্যদের কনফারেন্সে অংশ নেন ৪১ জন সংসদ সদস্য, যাদের সুপারিশকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় ‘কক্সবাজার ঘোষণাপত্র’।
ইতোমধ্যে এই ঘোষণাপত্রের প্রস্তাবনাগুলো বাংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের নতুন খসড়া প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আইনটি এখনও পাস না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে কাজ করে যাওয়া বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রায় ৪ কোটির কাছাকাছি মানুষ জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর তামাক ব্যবহার করে। বছরে দেশের প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায় এই তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে। বাংলাদেশ তামাকের কারণে প্রতিবছর প্রায় ৭ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।