পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বাড়ছে

আপডেট: May 18, 2023 |

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলছে। সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও দাম বেড়েই চলছে। মানভেদে বাজারে প্রতি কেজি পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে। মহল্লার দোকানে হাকা হচ্ছে ৯০ টাকা।

এদিকে, রাজধানীর বাজারে যোগান কিছুটা বাড়তে শুরু করলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেয়া দরে চিনি মিলছে না। দোকানদাররা বলছেন, চিনির সাথে অন্য পণ্য কেনার শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন পরিবেশকরা। এদিকে পেয়াজের বেশ ঊর্ধ্বমুখী।

হিলি, সোনামসজিদ, বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনেকে ঋণপত্র খুলেছেন, আবার অনেকে প্রস্তুতি নিয়েছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ করতে পারবেন। তখন পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, সারা বছর পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৫ লাখ টন হলেও প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ টন আমদানি করতে হয়। তবে প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্ষতিসহ পেঁয়াজের উৎপাদন প্রায় ৩৬ থেকে ৩৭ লাখ টন। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পচে যায় বা নষ্ট হয়। আবার আমদানিকৃত পেঁয়াজেও প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্ষতি বা নষ্ট হয় ৮ থেকে ১০ শতাংশ। বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ হারে সিডি (শুল্ক কর) আরোপিত আছে।

রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, আমদানি পেঁয়াজের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। যদিও বাজারে আমদানি পেঁয়াজ নেই বলে জানিয়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। তবে দামের সত্যতা রয়েছে ঢাকার নিত্যপণ্যের বাজারে।

এদিকে পেঁয়াজের দামের বিষয়কে ভোক্তারা অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক মনে করছেন।

লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি বাবুল হোসেন বলেন, ভারতে পেঁয়াজের দাম অনেক কম। আমদানি শুরু হলে দেশের বাজারের অস্থিরতা কমে যাবে। সপ্তাহখানেক আগে এলসি করেছি। দু-এক দিনের মধ্যে পেঁয়াজ চলে আসবে। তবে ভারতের বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে আমদানিতে জটিলতা দেখা দিচ্ছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর