সিরাজদিখানে বাঁশের সাঁকো ৮ হাজার মানুষের মরন ফাঁদ

সময়: 11:10 am - December 29, 2018 | | পঠিত হয়েছে: 6 বার

 

ম্ন্সুীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের ধলেশ্বরীর ও ইছামতি শাখা নদীর উপর দিয়ে নির্মিত ঝুকিপূর্ন বাশের সাকো দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে প্রায় ৬ শতাধিক স্কুল-কলেজের পড়–য়া শিক্ষার্থী সহ হাজারও মানুষ। গ্রামটিতে একটি ব্রিজ না থাকার কারনে মানুষের জীবন মান উন্নয়নের ব্যাপক বাধা-গ্রস্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

জেলার সিরাজদিখান উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের কয়রা খোলা গ্রামটিতে স্কুল, মাদ্রাসা, স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা থাকলেও একটি ব্রিজ না থাকার কারনে এসব প্রতিষ্ঠান গুলোই জেনো এখন মুখ থুবড়ে পড়ছে।

পাশাপাশি গ্রামটির সকল উন্নয়ন বাধা গ্রস্থ্য হচ্ছে, পড়াশুনায়ও ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এখানকার শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা, এই বাশের সাকো দিয়ে নদী পারাপারের ভয়ে স্কুল,মাদ্রাসায় পড়–য়া শিক্ষার্থীর সংখ্যও দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। যা দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত করছে। বর্ষা মৌসুমে ঝরঝর বৃষ্টি আসলে বাশের সাকো দিয়ে পার হওয়া যায়না। একটু বাতাস হলেই বাশের সাকোটি দুলতে থাকে তখন ভয় যেনো আরো কয়েকগুন বেড়ে যায়।

গ্রামটিতে একটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকলে ও সাকো পার হয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়ার সাহস পায়না ভুক্তভুগী রোগীরা। ফলে গ্রামটির সকল উন্নয়নযেন কোন কাজেই আসছেনা বলে মনের করছেন গ্রামবাসী, তাই দ্রæত একটি ব্রিজ নির্মানের মাধ্যমে গ্রামটির প্রায় ৮ হাজার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের উদ্দ্যোগ নিয়ে প্রায় ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী ও গ্রামটির হাজারো মানুষের কথা চিন্তা করে অচিরেই একটি ব্রিজ নির্মানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করবে সরকার এমনটাই প্রত্যশা সকল গ্রামবসীর।

জেলার সিরাজদিখান উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে কয়রা খোলা গ্রামের খালের উপর একটি ব্রিজ নির্মানের দাবী জানিয়ে একাধিক বার সরকারে উচ্চ পর্যায়ে আবেদন করা হলেও কাজের কাজ হয়নি মোটেও।এর কোন প্রকার প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা এমন কথা জানালেন সিরাজদিখানের বালুরচর ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর