জয়পুরহাটে জনপ্রিয় হচ্ছে পলিমালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ
এম.এ.জলিল রানা, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটে পলিমালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে বাড়ছে সফলতা, হচ্ছে জনপ্রিয়। জেলার পাঁচবিবিতে ফসল উৎপাদনে আগাছার হাত থেকে রক্ষা পেতে এবার পলিমালচিং পদ্ধতির ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা আর দিন দিন কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে এ চাষ পদ্ধতি। ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ এখন চোখে পড়ার মতো।
পলিমালচিং পদ্ধতিতে পলিথিন ব্যবহারে একদিকে যেমন জমিতে কোনো ধরনের আগাছা জন্মাতে পারে না তেমনি অন্যদিকে মাটিতে যথেষ্ট পরিমাণে রস জমা থাকে আর এ কারণে ফসলও ভালো হয়। কৃষকরা জানিয়েছেন, এ পদ্ধতিতে খরচ হয় কম এবং ফলন হয় ভালো।
উপজেলার বাগজানা,আয়মারসুলও কুসুম্বা ইউনিয়নেও পলিমালচিং পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে।এছাড়াও উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের শিরট্টি এলাকায় এ পদ্ধতিতে সবচেয়ে বেশি সবজি চাষ হয় । উপজেলার আটাপাড়া গ্রামের প্রান্তিক চাষী আবু ইয়াহিয়া মণ্ডল অন্যদের দেখে আগ্রহী হয়ে এ বছর প্রায় ৫ বিঘা জমিতে পলিমালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে তিনি জমিতে তরমুজ, বেগুন, ক্যাপসিকাম, টমেটো, পেঁপে, শিম, মরিচ, করলা, শসাএবং লাউসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করে অনেক ভালো ফলন পেয়েছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ১ হাজার মিটার পলি বিছাতে হয় আর এতে খরচ হয় ৮-১০ হাজার টাকা। একবার পলি বিছিয়ে জমি চাষ ছাড়াই শুধু সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে পরপর তিনবার ফসল উৎপাদন করা যায়।
বালিঘাটা ইউপি’র কোকতারা গ্রামের চাষী মনির হোসেন জানিয়েছেন, জমিতে ভালো ফলনের আশায় আমরা যে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে থাকি তার অধিকাংশই খেয়ে ফেলে আগাছা আর জমির এসব আগাছা পরিষ্কারে শ্রমিককে যত টাকা দিতে হয় সে তুলনায় পলির দামও অনেক কম।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুত্ফর রহমান জানিয়েছেন, এ উপজেলা প্রায় ৭শ বিঘা জমিতে পলিমালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন কৃষকরা। এ পদ্ধতিতে মাটির আর্দ্রতা ভালো থাকে। আগাছা জন্মাতে পারে না আর পোকা-মাকড়ও ধরে না।