সংসদে ‘আয়কর বিল ২০২৩’ পাস

আপডেট: June 19, 2023 |
inbound8341027076664913674
print news

জাতীয় সংসদে বহুল প্রতীক্ষিত আয়কর বিল-২০২৩ পাস হয়েছে।

রোববার বিলটি প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।

এর আগে বাছাই কমিটিতে আয়কর বিল পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে সংশোধনী প্রস্তাব নিষ্পত্তি হয়।

এতে সরকারি ও বিরোধী দলের কয়েকজন সংসদ সদস্যের কয়েকটি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়।

বিলের আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম।

তিনি বলেন, কারও ১০১টি গাড়ি থাকলে বিপুল পরিমাণে কর দিতে হবে। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ স্থায়ী হচ্ছে। ফলে তা আয় করতে ব্যাপক উৎসাহী হবে মানুষ।

জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, অনেকে বিদেশিদের ডোনেশন দেন।

সেখানে আয়কর দিয়ে চ্যারিটির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন তারা। এতে কর আরোপ হলে এনজিও ক্ষতির সম্মুক্ষীণ হবে।

তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্য কর আদায় বৃদ্ধি। স্বাভাবিকভাবেই করের জাল ফেললে অনেক মাছ ধরা পড়বে। এতে অনেক উপকারী মাছও মারা যাবে।

জাতীয় পার্টির নেতা অভিযোগ করেন, এ আইনের মাধ্যমে এনবিআরকে স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে। কোনটি ধর্মীয় আর কোনটি দাতব্য তা যাচাই করার সামর্থ কী তাদের আছে?

জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, কর আদায়ের পদ্ধতি ডিজিটালাইজড করতে ব্যয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। এতে দেড় লাখ কোটি টাকা কর আদায় বাড়বে। কিন্তু তা করা হচ্ছে না। ফলে টাকাটা ঘুষে চলে যাচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করেন, ঘুষ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) কোনও ফাইল চলে না। এনবিআরই ডিজিটালাইজেশনে বাধা।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সহজবোধ্য করে বাংলায় আইনটি করা হচ্ছে। সর্বোপরি, রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে। তবে কারও ওপর চাপিয়ে দিয়ে তা করা যাবে না।

তিনি জানান, ২০০৯ সালে রাজস্ব আদায় ছিল ৫৯ হাজার কোটি টাকা। এখন সেটা ৬ গুণ বেড়েছে।

এক্ষেত্রে মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকার খুব খারাপ করছে তাও বলা যাবে না। আবার অনেক ভালো করছে সেটাও বলে যাবে না।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর