পদ্মা সেতু চালুর এক বছর পূর্তি আজ


পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের টাকায় সেই চ্যালেঞ্জে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ।
পদ্মা সেতু উদ্ধোধনের এক বছর পূর্তি হয়েছে আজ। ৬ দশমিক এক-পাঁচ কিলোমিটারের সেতুর চালু, বাঙালির মানমর্যাদা পৌছে দিয়েছিল অনন্য উচ্চতায়। দীর্ঘ সময়ের অচলায়তন ভেঙ্গে এক সূতোয় বেধেছিল একটি সেতু। সেই রোমাঞ্চকর গল্প এখনও আলোচিত হয় বয়োবৃদ্ধ সবার মাঝে।
শুধু যাতায়াতকে সহজ ও নিরাপদ করেছে, এজন্য নয়। এ যে অর্থনৈতিক মুক্তির অন্যতম জিয়ানকাঠি। বড় প্রতিবন্ধকতা যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার অবসান হয়েছে। এখন, যতবেশি পরিকল্পিত বিনিয়োগ হবে, এই সেতুর তত বড় সুফল ঘরের তোলা সম্ভব। এমন মত অর্থনীতির বিশ্লষকরা।
পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচলের পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ খাতে বিপ্লব ঘটেছে গত এক বছরে। সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পদ্মা সেতু চালুর প্রথম বছরে গড়ে দৈনিক সাত হাজার গাড়ি চলাচল করবে এমন পূর্বাভাস ছিল। বাস্তবে চলাচল করছে ১৫-১৮ হাজার গাড়ি।
এমন অবস্থার মধ্যে আজ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের এক বছর পূর্তি হচ্ছে। পদ্মা সেতুর বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে কোনো বিশেষ আয়োজন রাখেনি সেতু বিভাগ। সেতু বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। পরের দিন ২৬ জুন থেকে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। এ সেতুর ফলে ঢাকা থেকে ২১ জেলায় যাতায়াতে সময় লাগছে মাত্র কয়েক ঘণ্টা। যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে ওই সব জেলায় ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ হচ্ছে।
পদ্মা সেতু চালুর পর প্রথমবারের মতো বরিশাল অঞ্চলে পোশাক কারখানা নির্মাণ হচ্ছে। মোংলা সমুদ্রবন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানিও বেড়েছে। তবে গত এক বছরে দক্ষিণাঞ্চলে যে হারে শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠার আশা করা হয়েছিল, তা ওঠেনি।
পদ্মা সেতু দেশের সড়কপথে কানেক্টিভিটি তৈরিতে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন। তিনি বলেন, সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তের ফলে সারা দেশের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা চালু হয়েছে। তিনি বলেন, এ সেতুর কারণে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে শিল্পায়ন হচ্ছে, পর্যটকদের যাতায়াত বেড়েছে।