গুরুদাসপুরে বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা


ইমাম হাছাইন পিন্টু, নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের বাবলাতলা গ্রামে স্কুলছাত্রী নদীর পিতার বাড়িতে ধুমধাম করে চলছিল বিয়ের আয়োজন। বাড়িভর্তি লোকজনের মুখে বিয়ের গীত।
তবে বিয়েতে মত ছিলনা স্কুলছাত্রী নদীর। বুধবার বিয়ের পিঁড়িতে বসার সব আয়োজন শেষ। এরইমধ্যে বৃষ্টির হানা, বিয়েবাড়ির পথ হয়ে পরে কর্দমাক্ত।
বৃষ্টি ও কাদাজল মাড়িয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধের অভিযানে নামেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায়।
বুধবার (২৩ আগষ্ট) বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শ্রাবনী রায়।
প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে বিয়ে বাড়ি ফেলে পালিয়ে যান আত্মীয় স্বজনেরা।
এসময় বাল্যবিয়ের সাথে জড়িত থাকার দায়ে স্কুলছাত্রী নদীর নানীকে আর্থিক জরিমানা করা হয়। এছাড়া বাল্যবিয়ে না দেওয়ার স্বর্তে মুচলেকাও নেওয়া হয়।
স্কুলছাত্রী নদী জানায়, স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে লেখা-পড়া করে সে। নিজের মতের বিরুদ্ধে পরিবারের লোকজন জোর করে বিয়ে দিচ্ছিলেন তাকে।
বিয়ে বন্ধ হওয়ায় আবার বিদ্যালয়ে যেতে পারবে সে। সে উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যাবাদ জানিয়েছে।
নারী উদ্যোক্তা বেলী আক্তার জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের বিষয়টি তিনি জানতে পারেন। তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করা হয়।
অপরাধ বিবেচনায় ওই ছাত্রীর নানীকে জরিমানা করা হয়। একই সাথে বাল্যবিয়ের সাথে না জড়ানোর জন্য মুচলেকা নেওয়া হয় এবং প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর বিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় নদীর পরিবারকে।
অন্যরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।