ঝালকাঠিতে এতিমখানার নামে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা আত্মসাত

আপডেট: September 2, 2023 |
inbound902365029452700338
print news

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার হেতালবুনিয়া শাখায়েতিয়া শামসুল হক এতিমখানায় এতিম না থাকার পরেও সরকারি বরাদ্দকৃত ১৭ লাখ ৫০ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে এতিমখানার সম্পাদক ও হেতালবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মনিরুল ইসলাম উপজেলা সদর ইউনিয়নের হেতালবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) মামলার বাদী দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, কাঁঠালিয়া উপজেলার হেতালবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মনিরুল ইসলাম তার নিজের গ্রামে হেতালবুনিয়া শাখায়েতিয়া শামসুল হক নামে একটি এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন।

২০১৩-২০১৪ সালে ক্যাপ্টেনশন গ্রান্ট মঞ্জুর করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রেজিস্টারে ৭৯ জন এতিম ভর্তির তথ্য পাওয়া যায়।

এরপর ২০২১ সালে ২৪শে নভেম্বর কাঁঠালিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেন ওই এতিমখানা পরিদর্শনে যান তখন তিনি কোন এতিম নিবাসী থাকার তথ্য পায় না।

এতিম নিবাসী না থাকায় তিনি এতিমখানার ক্যাপিটেশন গ্রান্ট বন্ধ করে দেন। এরপরে দুদক ওই এতিমখানায় চলিত বছরের ১০ জানুয়ারি অভিযান চালায়।

অভিযানকালে এতিমখানায় কোন এতিম নিবাসী পাওয়া যায় না। অথচ এতিমখানা কর্তৃপক্ষ দুই অর্থ বছরে ৭৬ জন এতিম দেখিয়ে ১৭ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা সরকারি বরাদ্দ আনেন এবং ওই টাকা পুরোটাই এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম আত্মসাৎ করেন বলে মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়।

দুদকের অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়ার পরে প্রতারনার মাধ্যমে এতিম না থাকা সত্ত্বেও ভুয়া এতিম দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করায় হেতালবুনিয়া শাখায়েতিয়া শামসুল হক এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গত বুধবার ৩০ আগষ্ট পেনাল কোডের ৪০৯/৪২০ ধারায় (মামলা নং-৩/২০২৩) মামলা করা হয়।

মামলার বাদী দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন   বলেন, অনুসন্ধানকালে দুদক হেতালবুনিয়া শাখায়েতিয়া শামসুল হক এতিমখানায় অর্থ আত্মসাতের তথ্য পায়।

এতিম না থাকা সত্ত্বেও এতিমের ভুয়া নামে বরাদ্দ নিয়ে আত্মসাৎ করেন সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম। মামলাটি দায়েরের পর থেকে তদন্ত কাজ চলছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর